আলোচিত তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিচ্ছেদের বিষয়টি শোবিজ অঙ্গনে এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। শুধু ভক্ত নন, দেশবাসীও চান না তারা আলাদা হয়ে যান। এ কারণে শাকিব-অপুর সংসার রক্ষায় উদ্যোগী হয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার অপু-শাকিবের ডিভোর্সের বিষয়ে দুজনকেই শুনানি ও মিটমাটের জন্য তলব করে ডিএনসিসি। এ ডাকে অপু সাড়া দিলেও উপস্থিত হতে পারেননি শাকিব।
জানা গেছে, ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়া’ ছবির গানের শুটিং নিয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন শাকিব খান। তার সঙ্গে রয়েছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী।
সোমবার সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল-৩ এর অফিসে দুপুর সাড়ে ১২টা দিকে হাজির হন অপু। কিন্তু শাকিব খান না থাকায় একাই ফিরতে হয়েছে তাকে।
নিয়মানুযায়ী শাকিব খানের তালাকের নোটিশটি ডাকে ডিএনসিসির কাছে পৌঁছানোর পর তারা পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেছেন। শুনানির দিনে দুজনেরই বক্তব্য দেওয়ার কথা। তারা যদি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকতে রাজি হন তা হলে সংসার করতে কোনো বাঁধা থাকবে না। তা না হলে আরও দুবার নোটিশ দিয়ে শুনানি করা হবে। তিনবার হয়ে গেলেই তাদের তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নতুন শুনানির তারিখও দেয়া হয়েছে।
এদিকে, শাকিব খানের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র পূর্বপশ্চিমকে নিশ্চিত করেই বলেছে, অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সংসার করার কোনো ইচ্ছেই শাকিবের নেই। কোনো শুনানিতে তিনি বা তার প্রতিনিধি উপস্থিত নাও হতে পারেন। কাবিনের টাকা পরিশোধ করা হবে সময় মতো। এমনকি সূত্রটি আরো জানিয়েছে, তালাক কার্যকরের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় নায়িকা শবনম বুবলীকে বিয়ে করতে পারেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় শাকিব খান অপু বিশ্বাসের সংসার নিয়ে নানা ধরণের কথা বলেছেন বুবলী। নিজেকে শাকিব খানেরও স্ত্রীও একবার দাবি করেছিলেন তিনি। এদিকে, শাকিব অপুর ভক্তদের এখনো চাওয়া যেন তাদের সব ভুল ভেঙে গিয়ে সন্তানের দিকে তাকিয়ে মিটমাট করে ফেলেন দুজনই।