শীতেরআড়ষ্ঠতা ভেঙেপ্রকৃতিতেসাজসাজরব। মহামারীকরোনার মন্দ সময়কে পেছনে ফেলেমানুষ স্বাগতজানিয়েছেঋতুরাজবসন্তকে। রোববারছিলআবারবিশ্ব ভালোবাসাদিবসও। এ উপলক্ষে তাহিরপুরউপজেলারমানিগাঁওগ্রামেরশিমুলবাগানে যেন মেলাবসেছিল। উৎসবেরআমেজেগাঁদাফুলেররঙেই সেজেছেতরুণীরা। পড়েছেবাসন্তী রঙেরশাড়ি। খোঁপায় গুঁজেছেশিমুলফুল, মাথায়টায়রাআরহাতেপড়েছেকাচেরচুড়ি। তরুণরাওবাসন্তী রঙেরপাঞ্জাবিবাফতুয়াপরেএসেছেশিমুলবাগানে। ফুলের সৌরভে মেতে উঠেছে চারপাশ।
ফাল্গুন মাসএসেছেকিনা, তা বোঝারজন্য এ দেশেরপ্রকৃতিরাজ্যে একটু দৃষ্টি ফেলতেইহবে। শীতেরশীর্ণ পাতাঝরাগাছেরডালেডালেফুলের এক অপূর্ব উন্মাদনা। বসন্তের আগমণেনিজরূপে সেজে উঠেছে শিমুলফুল। এবারগাছেগাছেএসেছেনতুনপাতা, স্নিগ্ধ সবুজকচিপাতারধীরগতিময়বাতাসজানানদিচ্ছেনতুনলগ্নের।
তাহিরপুরউপজেলারমানিগাঁওগ্রামে ২ হাজার ৪ শতকজমিতেগড়েউঠাশিমুলবাগানেরপ্রতিটিগাছেএসেছেনতুনফুল। দেশেরঅন্যতম সৌন্দর্যম-িতনদীযাদুকাটারতীরে ঘেঁষেউঠাশিমুলবাগানে ফেব্রুয়ারিমাসেরপ্রথমসপ্তাহ থেকেই ফুলফুটতেশুরু করে। লালফুলেরকল্যানেপুরোএলাকায়হয়ে উঠেছে রক্তিম আভা। ওপারেভারতের মেঘালয়রাজ্যে, মাঝে সৌন্দর্যে ষোলোকলায়পরিপূর্ণ যাদুকাটানদীআরএপারেশিমুলবাগান। সব মিলেমিশেগড়েতুলেছেপ্রকৃতির এক অনবদ্য কাব্য। লালপাপড়ি মেলে থাকা রক্তিম আভায় যেনপর্যটকদের মনেআলাদাজায়গাকরেনিয়েছে।
এদিকে স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশেরবিভিন্ন জেলা থেকে তাহিরপুরেপর্যটকরাআসতেশুরু করেছেন। এতে বেড়েছে পেশাদার ফটোগ্রাফারদের ব্যস্ততা। পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছেশিমুলফুলদিয়েমালা, ভালোবাসারপ্রতীক তৈরিকরারকারিগরদের মধ্যেও। বসন্তের আগমনীবার্তাজানিয়েসারিসারিশিমুলগাছেফুলফুটতেশুরুকরেছে। বাগানেরসবকটিগাছেপরিপূর্ণ ভাবেফুলফুটতেআরওকিছুদিনসময়লাগবেহয়তো।
সিলেট থেকে পরিবারনিয়েঘুরতাআসাপ্রফেসরডাঃশাহাবউদ্দিনজানান, শিমুলবাগানেঅনেকদিনধরেআসারপরিকল্পনাছিল। শুক্রবারপরিবারনিয়েঘুরতেএসেছি। দীর্ঘপথ জার্নি করেএখানে পৌঁছে সব ক্লান্তিভুলে গেছি। আরশিমুলবাগানের সৌন্দর্য সত্যিইমুগ্ধ করবে যে কাউকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা অনুন্নত থাকায়অনেকটাইভুগিয়েছেএটুকু পথ আসতেগিয়ে।
শিমুলবাগানেঘুরতেআসাশাহজালালবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবদ্যালয়ের দুইশিক্ষার্থী বলেন, সারিসারি রক্ত রাঙাশিমুলফুল দেখে সত্যিইঅভিভূত। তবেবাগানের সব ফুলএখনওফুটেনি। ৩-৪ দিনপরেআসলেআরওঅনেক সৌন্দর্যের দেখামিলতো।
ঢাকা থেকে ঘুরতেআসাপিংকা ও জান্নাতুলবলেন, আমরা ৭ জনবন্ধুবান্ধবশিমুলবাগানের সৌন্দর্য দেখতে গত বছরপরিকল্পনাকরেছিলাম। আজ (গত শুক্রবার) বাগানেআসতে পেরেএবংএর সৌন্দর্য দেখে সত্যিইমুগ্ধ। তবেযাত্রাপথে নাজেহাল যোগাযোগব্যবস্থায়বিব্রতকরপরিস্থিতিতেপড়তেহয়েছেআমাদের। যোগাযোগব্যবস্থা ব্যতীত এই এলাকার সব কিছুইভালো লেগেছে। আবারওআসার ইচ্ছে আছে।
চিকিৎসকহাসনাহেনা স্কুলপড়ুয়া মেয়েকেনিয়েশিমুলবাগান দেখতে এসেছেন। তিনিবলেন, পর্যটনেরবিপুল সম্ভাবনারয়েছেতাহিরপুরে। তবেপর্যটকদের মানসম্মত থাকা-খাওয়া ও নাজেহালযাতায়াতব্যবস্থার উন্নয়নকরতেহবে।
বাগানেরপ্রতিষ্ঠাতাপ্রয়াতজয়নালআবেদীনের ছেলেবাদাঘাটইউনিয়নের চেয়ারম্যানআফতাবউদ্দিনবলেন, তারবাবরপরিশ্রমেরফসল এই বাগানটি। তিনি খুব বৃক্ষপ্রেমীছিলেন। তিনিশুধুশিমুলবাগাননয়পাশ্ববর্তীটাঙ্গুয়া হাওরেলক্ষাধিকবিভিন্নধরনেরগাছ রোপনকরে গেছেন। যাএখন দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা দেখতে আসেন। সরকারযদি যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নকরেনতাহলেএসবপর্যটন স্পটেআরোপর্যটকেরসমাগমঘটবে।