
নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভায় যুবলীগের সহ-সভাপতি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত চঞ্চল কুমার হত্যার প্রতিবাদে মানব বন্ধ অনুষ্টিত হয়েছে। চঞ্চল কুমারকে হত্যা করে যে ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তারই সুবিচারের দাবীতে গতকাল রবিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে পৌরসভার হরিতলা বাজারের চার রাস্তা মোড়ে স্থানীয় এলাকাবাসির আয়োজনে এ মানব বন্ধ অনুষ্টিত হয়।এসময় মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টিয়ান পরিষদ,হিন্দু মহাজোট,আওয়ামীলীগ,ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।এতে বক্তব্য রাখেন,তাহেরপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আবু বাক্কার মৃধা মুনসুর,সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন,শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা,তাহেরপুর পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক দেলবর রহমান, তাহেরপুর পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আসাদুল ইসলাম (আসাদ)। এসময় উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু মহাজোটের কানাই চন্দ্র দাস,নারায়ন চন্দ্র,শীতল সাহা,মানিক সাহা,গোবিন্দ,আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক,পৗর ছাত্রলীগের সভাপতি নওশাদ আলী,সাধারন সম্পাদক সন্দিপ রায় টিংকু, তাহেরপুর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুজ্জামান মৃধা তুহিন,সাধারন সম্পাদক কোরবান খাঁ প্রমুখ।এদিকে,নিহত চঞ্চল কুমারের লাশ ময়না তদন্ত শেষে গতকাল রবিবার বিকালে তাহেরপুরের উরাপিতলা শশ্নান ঘাটে দাহ সম্পর্ন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদসহ এলাকার গুমান্য ব্যাক্তিবর্গ। উল্লেখ্য,বাগমারা-৪আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক সমর্থকদের লোকজনের ছুরিকাঘাতে গত শনিবার দুপুরে চঞ্চল কুমার মারাত্মক জখম হয়। পরে চঞ্চলকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তবে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বিকেল চার টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবলীগ নেতা চঞ্চল মারা যান। চঞ্চলের শরীরের দুই জায়গায় ছুরিকাঘাতের জখমও রয়েছে। নিহত চঞ্চল কুমার চন্দ্র তাহেরপুর পৌরসভার হলদার পাড়া এলাকার মৃত নরেন চন্দ্র পিয়নের ছেলে।তিনি তাহেরপুর পৌরয় যুবলীগের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন।