
ত্রিশালে নিজস্ব অর্থায়নে সুতিয়াখালী নদীর উপর ব্রীজ নির্মান করলেন বৈলর ও ধানীখোলা ইউনিয়নের স্থানীয় জনতা। এতদিন যাবত খুবই কষ্ট করে জীবনের ঝুকি নিয়ে বাশের তৈরি সাকো পারাপার হতেন বৈলর-–ধানীখোলাবাসী। নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল পারাপার করতে গুনতে হত দিগুন ভাড়া। বাশের সাকো দিয়ে পার হতে গিয়ে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তাই ব্রীজ নির্মান অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়ে।অনেক উচ্চ পর্যায়ে ধর্ণা দিয়েও সেতু নির্মান না হওয়াই স্থানী এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ব্রীজ নির্মান করার জন্য নজরুল ইসলাম সরকার,আব্দূল মালেক, চান মিয়া ,হারুন তালুকদার ,টুকুন তালুকদার সহ অনেকে উদ্দোগ গ্রহণ করেন । নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ”প্রথমে অনেকে আমাদের ব্রীজ নির্মান নিয়ে হাসি তামাসা করে,তাদের মতে বলে ব্রীজ নির্মান সম্ভব নয় । কিন্তু আমরা হাল ছাড়েনি । ২০১৮ সালে আমরা কাজ শুরু করি , ধীরে ধীরে এলাকার মানুষ এগিয়ে আসতে শুরু করে । বৈলর- ধানীখোলা বাসী সবাই যার যার সামর্থ মতো অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে থাকেন”। ব্রীজটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮০ ফুট , প্রস্থ প্রায় ১২ ফুট । প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজটির নির্মাণ করা হয়। কাজটি সম্পন্ন হয় ২০১৯ সালে ।বৈলর-ধানীখোলারবাসীর যৌথ পরিশ্রমের প্রতীক এই ব্রীজটির নাম রাখা হয়েছে ”ধানীখোলা – বৈলর মৈত্রী সেত’” । ব্রীজটির কাজ শেষ হওয়ায় এলাকাবাসী এর সুফল পেতে শুরু করেছে। সম্পুর্ন নিজস্ব অর্থায়নে এই ব্রীজ নির্মান ত্রিশালে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে । প্রতিদিন অনেকে এই ব্রীজ দেখতে যাচ্ছেন । তাই বলা যায়,মানুষের মধ্যে একতা থাকলে অনেক কিছ’ সম্ভব ।