১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • সকল সংবাদ
  • দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে শতবর্ষী হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি




দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে শতবর্ষী হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি

আশরাফুল ইসলাম জয়, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।

আপডেট টাইম : ফেব্রুয়ারি ০৬ ২০১৮, ২২:০৬ | 933 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

এন.এইচ.নাহিদ,(কুষ্টিয়া)থেকেঃ- পদ্মার কোলে প্রকৃতিরন অপরূপ সৌন্দর্যে ছেয়ে থাকা দক্ষিন জনপদের দ্বারপ্রান্তর ভেড়ামারা ও পাকশী বেড়ানোর এক অপরূপ নিসর্গে পরিনত হয়েছে এখানে এলে রূপসী পদ্মার  ঢেউয়ের কলধ্বনি,চারদিকে  সবুজের বেষ্টনী ও ‍উত্তাল হাওয়ার পরশে যেমন হৃদয় ভরিয়ে দেয়।তেমনি এ  এলাকায় রয়েছে ইতিহাস ও প্রাচীন কীর্তিসহ  বিংশ শতাব্দীর দেশের বৃহত্তম রেল সেতু হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লালন শাহ সেতু।সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্মৃতিচিহ্নে সমৃদ্ধ ভেড়ামারা পর্যটনের মনোরম স্পটে সমৃদ্ধ হয়েছে।দেশের দর্শনীয় স্থানগুলোর তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো একটি অন্যতম স্থান।প্রতিদিন শত-সহস্র দর্শনাথীর ভিড়ে মুখর হয়ে থাকে ভেড়ামারা পাকশীর ‍উভয় পাড়।সকাল-বিকাল মনে হয় যেন এক মিলন মেলা।স্ব চোখে না দেখলে বুঝা যাবে না।ভেড়ামারার অন্যতম কীর্তি হলো হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দক্ষিন পাশে লালন শাহ সেতু।যমুনা সেতুর অপরুপ লালন শাহ সেতু বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু।প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর ১ হাজার ৭৮৬ মিটার দৈর্ঘের এবং ৭.৫ মিটার দুই লেন বিশিষ্ট   সেতুটি বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ‍উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করেছে এবং সেতুর ‍উভয় পাশে রয়েছে মোট ৮টি টোল প্লাজা গুলো যেন আরো শ্রীবৃদ্ধি করেছে।লালন শাহ সেতু দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ অবকাঠামোর ‍উন্নয়ন এবং পরিবহন ব্যবস্থার প্রসারে ওল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।হার্ডিঞ্জ ব্রিজ প্রবিনদের কাছে ‘সাঁড়া পুল’ নামে পরিচিত।আজ যাদের বয়স ৮০-৯০ বছর তাদের কাছে ‘সাঁড়া পুল’ টি ‍ছিল এক স্বপ্নের পুল।যমুনা সেতু যেমন এক স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঠিক তেমনি ভেড়ামারার লালন শাহ সেতুও এক স্বপ্নের বাস্তবায়ন

Image may contain: cloud, sky, bridge, outdoor, water and text
প্রবীনরা জানান,১৮৯০ সালে শিলিগুড়ি মিটারগেজ রেলপথ স্থাপিত হলে প্রমত্তা পদ্মা নদীর এক তীরে সাড়া ঘাট ও অন্য তীরে দামুকদিয়া ঘাটের মধ্যে চলাচল শুরু হয় রেল,ফেরি, ও স্টিমার।১৯১০ সালে পদ্মার ওপর সেতু নির্মানের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে পদ্মার গতিকে নিয়ন্ত্রন করা ছিল অত্যন্ত দূরুহ কাজ। এই দূরুহ কাজ করতে  গিয়ে বিশ্বে প্রথম রিভার ট্রেনিং ও গাইড বাঁধ নির্মান করা হয় পদ্মার ‍উভয় পাড়ে.প্রায় ৮ কিঃমিঃ ‍উজান থেকে গাইড ব্যাংক বেঁধে নিয়ে ১৯১২ সালে শুরু হয় রেল সেতুর কাজ।এরপর নরম পলিমাটিতে নং ০৪

স্প্যান ০৪!!

স্প্যান ০৪ নির্মান করাটা ছিল আরেকটি দূরুহ কাজ।রিভার বেড বা নদী শয্যার নিচে ১৬০-১৯০ ফুট গভীরতায় কূপ খনন করে স্থাপিত হয় স্প্যান।এভাবে প্রতিটি ৫২ ফুট ‍উচ্চতার ১৫ টি স্প্যান ও দু’পাশের কাঠামোর ল্যান্ড স্প্যানের ওপর ৫ হাজার ৮৯৪ ফুট দীর্ঘ রেল সেতু নির্মান করা হয়।যা আজ এক অমর কীর্তি হিসেবে দেশে ও বিদেশে স্থান পেয়েছে.তৎকালীন প্রকৌশলী জগতের বিখ্যাত রবার্ট ‍উলিয়াম গেলস ও ফ্রান্সিস স্প্রিংগের নকশায় ব্রেইন্স ওয়ালটি এন্ড ক্রিম নামের প্রতিষ্ঠানটি  এই রেল সেতুটি নির্মান করেন।১৯১৫ সালের ১ই জানুয়ারী পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েকটি মালবাহী বগি নিয়ে একটি ইঞ্জিন নিয়ে সেতু অতিক্রম করেন।উক্ত ট্রেনটি সোনা মিয়া নামক এক ট্রেন চালক প্রথম সেতুটি অতিক্রম করেন।এরপর ১৯১৫ সালের ৪ মার্চ তৎকালীন ভাইস লর্ড হার্ডিঞ্জ আনুষ্ঠানিকভাবে সে সময়ের দেশের বৃহত্তম রেল সেতুটি উদ্বোধন করেন।সেই সময় থেকে প্রথম ডাবল লাইনের রেল সেতুটির নাম হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জনের স্মৃতিচিহ্ন বহন করছে  সেতুটি।ইতিমধ্যে সেতুটি শতবর্ষ পূরণ করেছে।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET