
গোলাম রসুল, দুর্গাপুর প্রতিনিধিঃ- দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির সুর। আর এই কমিটিকে ঘিরে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলার তৃণমূল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা পদে আশতে দিয়ে যাচ্ছেন উর্দ্ধতন নেতাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিভিন্ন প্রতিশ্র“তি। আগামি ১১ ও ১২ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নবচেতনার উন্মচন হবে এমনটাই আশা নিয়ে চলছে দৌড় ঝাঁপ।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে নেতারা লবিং-গ্র“পিং চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা স্থানীয় নেতাকর্মীদের মন যোগানসহ হাইকমান্ড নেতাদের কাছেও যাচ্ছে সমর্থন পেতে। তবে নতুন কমিটিতে সৎ, শিক্ষত যোগ্য ও ত্যাগী নেতৃত্বই নির্বাচন করতে চাইছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। দলকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগে চলছে এই অভিযান। দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে ৩ জনের নাম শোনা গেলেও সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে একজনের নাম। এরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের কর্মসুচী ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুর রহমান মিঠু, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য আতিকুর রহমান ও মাসুদ রানা। এছাও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য খালিদ হাসান হৃদয়।
দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যার্শী সাজেদুর রহমান মিঠু বলেন,আমি দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগে সভাপতি পদপত্যাশী। আমি আশা করি দুর্গাপুর উপজেলা আ,লীগের অভিভাবক ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সমর্থনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অভিভাবক আমাকে দুর্গাপুর ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীয়ত করবেন। আমি সবসময় ছাত্রলীগের পাশে থেকেছি এবং আগামিতের সকল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বট গাছের ছাঁয়া হয়ে তাদের পাশে থাকব। তিনি আরো বলেন আমি নির্বাচিত হলে দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন,ওয়ার্ড ও কলেজ শাখা কমিটিতে মাদক মুক্ত, স্বত, মেধাবী ও যোগ্য কর্মীদের পদে নিয়ে আসবো। এবং সেই সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপনের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো।
দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যার্শী আতিকুর রহমান বলেন, তিনি স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি করে আসছেন। সবসময় তিনি দলের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে রাজনীতি করে আসছেন। তিনি আগামীতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে দলকে আরো গতিময় শক্তিশালি করতে তিনি ব্যাপক ভুমিকা পালন করবেন। বিগত প্রায় ৭ বছর থেকে দুর্গাপুরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চলচ্ছে অভিভাবকহীন। পুর্বের মেয়াদউর্ত্তীণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদবলে যারা রয়েছে তাদের বয়স ও ছাত্রত্বই নেই। এমনকি তাদের মধ্যে একজন বিবাহীত ও একজন চাকরিজীবি। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে গঠনতন্ত্র সেই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগ পরিচালনা করা হবে। দীর্ঘ ১৫-২০ বছর থেকে দুর্গাপুর উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি নেই। তিনি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করবেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মাসুদ রানা বলেন, আমার জন্ম আওয়ামীলীগ পরিবারে। আমি স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি করে আসছি। আমি শতভাগ প্রত্যাশি দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমাকে মনোনীত করা হবে। আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন সভা,সমাবেশে উপস্থিত থেকে সভা সমাবেশ সাফল্যমন্ডিত করেছি। সেই সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার দলকে এগিয়ে নিতে বর্জ কণ্ঠে ও শক্ত হাতে কাজ করে যাব। তিনি আরো বলেন, সভাপতি নির্বাচীত হতে পারলে দুর্গাপুর উপজেলার সকল ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও কলেজ শাখা কমিটিতে প্রকৃত আওয়ামীলীগ পরিবাররের সন্তান নেশা মুক্ত ছাত্রলীগকারীদের কমিটিতে ঠাই দেওয়া হবে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যার্শী খালিদ হাসান হৃদয় জানান, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে এক মাত্র ছাত্রলীগই মুল ভূমিকা পালন করে। কেননা মুক্তিযুদ্ধের সময় হতে প্রতিটি কাজে আজও ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের বলিষ্ট ভুমিকা রাখবেন। উপজেলা ছাত্রলীগ হবে সু-সংগঠিত ছাত্রলীগ। তিনি আরো বলেন,বিগত সময় আমি ছাত্রলীগের সুখ দুঃখে পাশে ছিলাম,আছি এবং আগামিতেও থাকবো।এদিকে দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগ অবিবাহিত, নিয়মিত ছাত্র, মাদকমুক্ত, আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান ও ক্লিন ইমেজদের দিয়ে কমিটি করার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের নেতারা। এছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, যাদের বয়স ২৯ এর কম তারাই কেবল নতুন কমিটিতে আসবে এমন প্রত্যাশা জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।