১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-




দুর্ঘটনা কবলিত বিমানে রাজশাহীর পাঁচজন নিহত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আপডেট টাইম : মার্চ ১৩ ২০১৮, ১২:৪৫ | 916 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

নাজিম হাসান, রাজশাহী প্রতিনিধি:- নেপালের কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে রাজশাহীর তিন দম্পতি ছিলেন। তাদের ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই নিহত হয়েছেন। বেঁচে আছেন শুধু রাজশাহী প্রকৌশল প্রযক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক শিক্ষক। তার নাম ইমরানা কবির হাসি। তিনি কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুক আইডিতে হতাহত বাংলাদেশিদের যে তালিকা প্রকাশ করেছেন তাতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তালিকার ৩২ বাংলাদেশির মধ্যে ইমরানা কবির হাসির নাম রয়েছে ১৪ নম্বরে। সবুজ রঙে নাম লিখে জানানো হয়েছে তিনি জীবিত আছেন। তবে হাসির স্বামী রকিবুল হাসানের নাম লেখা রয়েছে কাল রঙে। জানানো হয়েছে তিনি বেঁচে নেই। প্রকৌশল রকিবুলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামে। আর হাসির বাড়ি টাঙ্গাইলে। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ থেকে পাশ করে সেখানেই শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন হাসি। আর তার স্বামী একই বিভাগের জিরোসিক্স সিরিজের শিক্ষার্থী ছিলেন। রকিবুল ঢাকায় একটি বেসরকারি সফটওয়ার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। হাসি রাজশাহীর মুন্নাফের মোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। এ দুর্ঘটনায় রাজশাহীর আরও দুই দম্পতি নিহত হয়েছেন। তারা হলেন,মহানগরীর শিরোইল এলাকার বাসিন্দা হাসান ঈমাম, তার স্ত্রী নাহার বিলকিস বানু এবং উপশহর এক নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আক্তারা বেগম। নিহত নাহার বিলকিস বানু রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর মালেকের বোন। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক ছিলেন। আর তার স্বামী হাসান ঈমাম ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তার স্ত্রী আক্তারা বেগম ছিলেন রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক। দুইজনই সম্প্রতি অবসর প্রস্তুতি মূলক ছুটিতে (এলপিআর) গেছেন। অবসর গ্রহণের আগের এই ছুটিতে তারা প্রথমবারের মতো বিদেশে বেড়াতে গিয়ে ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে সেখানেই জীবন থেকে বিদায় নিলেন তারা। মুঠোফোনে তাদের মেয়ে কাকন জানান, তারা দুই বোন। ঢাকায় থাকেন। তাদের বাবা-মা রাজশাহীতে থাকতেন। নেপালের বিমানবন্দরে যে বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে তাতে তার বাবা-মা ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তারা তাদের মৃত্যুও খবর জানতে পেরেছেন। কিন্তু এখনও তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না। ভাবছেন, ঘরে ফিরবেন তাদের বাবা-মা। গত সোমবার দুপুরে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া এই বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন। দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET