ডেস্ক রিপোর্ট:- শীতে কাঁপছে সারাদেশ। হিমেল হাওয়া ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বেশি কাঁপছে দেশের উত্তরের জনপদ। হিমালয়ের কোলঘেঁষা দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ইতিহাসে যা সর্বনিম্ন।
এছাড়া পাশের জেলা নীলফামারীর তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। দিনাজপুরের তাপমাত্রাও তিন ডিগ্রি ছুঁইছুঁই করছে। সেখানে সোমবার সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তিন দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান জানান, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তথ্য আমরা পেয়েছি। এটি ১৯৬৮ সালের পর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এর আগে সকালে ঢাকা আবহাওয়া কার্যালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি এক প্রতিবেদনে নীলফামারির ডিমলা উপজেলায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্য জানায়।
স্বাধীনতার আগে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর আরও কোনদিন তাপমাত্রা এত নিচে নামেনি বলে জানা গেছে। এবার সে রেকর্ডও ছাড়াল তাপমাত্রা।
তীব্র শীতে তিস্তা ও নদী অববাহিকার লোকজন শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। ফলে লোকজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে।
গতকাল রবিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সোমবার এই জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তিন দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুর নীলফামারী ছাড়াও রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এই দুই বিভাগের বেশিরভাগ জেলায় তাপমাত্রা সাত ডিগ্রির নিচে নেমে এসেছে। সকালে রংপুরে একটু রোদের দেখা মিললেও অন্যান্য জেলাগুলো কুয়াশায় ঢেকে আছে।
এদিকে তাপমাত্রা হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। ঠাণ্ডা নিবারণ করতে অনেককে খড়কুটো জ্বালিয়ে রাখতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া অধিপ্তরর সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ও চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। দেশের সব কটি বিভাগেই স্থানভেদে তীব্র, মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।