
ইমরান খান রাজ, দোহার প্রতিনিধিঃ- সারাদেশব্যপী চলছে এইচএসসি পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এই পরীক্ষা। কিন্তু ঠিক এসময় প্রতি দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর বিদ্যুতের লোডশেডিং এর আলো আধারের খেলায় ঢাকার দোহার উপজেলার হাজারো শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা নিয়ে সংশয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে লোডশেডিং।সময়-অসময়ে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় মারাত্মকভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে তাদের পড়াশুনায়।ব্যাহত হচ্ছে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি।
ফলে পরীক্ষায় তাদের আশানুরূপ ফলাফল না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরী হচ্ছে এসব পরীক্ষার্থী-অভিভাবক উভয়ের মাঝে।
পদ্মা কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার পরীক্ষার্থী মো. আহসান হাবীব মামুন জানায়, পরীক্ষার সময় লোডশেডিং হলে আমরা পড়বো কিভাবে? এতদিন লোডশেডিং কম ছিলো এখন পরীক্ষার এসময় সেটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মালিকান্দা স্কুল এন্ড কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, পড়ার টেবিলে বসার পর যদি লোডশেডিং হয় তাহলে পড়ায় মন বসানো যায় না। এমনিতেই প্রচণ্ড গড়ম আবহাওয়া তারমধ্যে লোডশেডিং ! মোমবাতি দিয়ে অনেক কষ্টে পড়াশোনা করতে হয়।
পদ্মা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জনাব আলমগির হোসেন জানান, পরীক্ষার আগের রাতে শিক্ষার্থীরা পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে তারা প্রস্তুতি নিতে না পারলে পরীক্ষা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দোহার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ নারিশা এড়িয়া অফিসের সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার জনাব মো. ইউনুছ আলী জানান, বন্ধ করার জন্য দ্রুত চেষ্টা করছি। যত তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান করা যায় আমরা করবো। কয়েকদিন একটু অসুবিধা হবে পরীক্ষার্থীদের।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ দোহার জোনাল অফিসের ডিজিএম জনাব খোরশেদ আলম জানান, বর্তমানে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারনে বিদ্যুৎ সরবরাহ খানিক সময় বন্ধ থাকলেও আবহাওয়া ঠিক হওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নতি করতে বা সংযোগ মেরামত করার সময় বিদ্যুৎ কিছুটা সময় সরবরাহ বন্ধ থাকে। এসময় তিনি আরো বলেন, দোহারের সার্বিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি করতে আমরা বদ্ধ পরিকর এবং সে অনুযায়ী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
নারিশা এলাকার একজন অভিভাবকের সাথে কথা বললে তিনি জানায়, তার ছেলে এবছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে লোডশেডিং এর ফলে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটে। এতে রেসাল্ট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সারা দোহার উপজেলাতেই লোডশেডিং এর মাত্রা ধীরে ধীরে তীব্র আকার ধারণ করছে। এমতাবস্থায় দোহারবাসীর দাবী অতিদ্রুত এই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা।