এ বিষয়ে কলেজের ছাত্রীরা জানায়, সোহেল রানা স্যার সুযোগ পেলেই ছাত্রীদের মানসিক নির্যাতন করে। তাছাড়া মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে কু-প্রস্তাব দেন। তারা আরোও জানায়, সোহেল রানা ১৩/৫/২০০৬ ইং হতে ১১/৮/২০১১ ইং পর্যন্ত এই শিক্ষাতিষ্ঠানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ছাত্রীদের অশ্লীল কথাবার্তা সহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রীদের সাথে জোর পূর্বক অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৭/৪/২০১০ ইং তারিখে অধ্যাক্ষের অফিসে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং তার বিরুদ্ধে ২২ জন শিক্ষক কর্মচারী রেজুলেশন স্বাক্ষর করেন। পরে ঘটনা সত্যপ্রমানিত হওয়াতে শিক্ষক রানা সাহেবকে লক্ষিপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে বদলী করা হয়। এক বছর আগে আবারও হোসেনাবাদে বদলী হয়ে আসেন। এবং পরে এই কলেজে এসে আবার একই ভাবে তার নষ্টামী চালিয়ে যান। ছাত্র ছাত্রী রা জানান আর কতটা খারাপ কাজ করলে এই শিক্ষকে বিচারের আওতাতে নিবেন কর্তিপক্ষ আবার হয়তো এখান থেকে তাকে বদলি করা হবে কিন্তু আবার সে এই ধরনের কাজ করবে। এ বিষয়ে শিক্ষক সোহেল রানা অন্য এক জন শিক্ষক আব্দুল আল মামুন ছাত্র ছাত্রীদের শিখিয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন করাচ্ছে বললে। এ বিষয়ে মামুন সাহেব জানান আমি এই বিষয়ে কিছু জানতাম না আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্ন মিথ্যা।
ভূক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমাকে অশ্লীল কথাবার্তা সহ কু-প্রস্তাবের কারনে আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ স্যারের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করি। তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে আমাকে আশ্বাস দেয়। কিন্তু তদন্ত করার নামে রানাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে বিভিন্ন রকম তালবাহানা করছে। তিনি আরোও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রানা স্যার বিষয়টি মিমাংশা করার কথা বলে আমাকে ফোনে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক জন শিক্ষক জানান ১৭/৪/২০১০ইং তারিখে সকল শিক্ষক রেজুলেশন নিয়ে ছিলেন এবং অভিযোগ প্রমানিত হয়েছিল।কারন একটি দৃশ্যমান জিনিস তার প্রমান। তিনি আর জানান রানা সাহেব সেই সময়ে একজন ছাত্রীর সাথে দোহিক সম্পর্ক করে পেগন্টে করে ফেলেন এ ছাড়া অন্য মেয়েদের অভিযোগ তো ছিল। তিনি আর জানান লক্ষিপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে একই কাজের অভিযোগে আবার হোসেনাবাদে বদলি হয়ে আসেন।
এ বিষয়ে হোসেনাবাদ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের কাছে অভিযুক্ত শিক্ষক সোহেল রানার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন তাই তার বিরুদ্ধে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তদন্ত চলাকালীন সময়ে ছুটি নেওয়ার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কথাটি এড়িয়ে যান। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর না দিতে পেরে তিনি রেগে গিয়ে বলেন রানা স্যার পলাতক। এ বিষয়ে আবার পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করেছি পরবর্তীতে কি হয় দেখা যাক।এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান জানান এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের জন্য দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জের কাছে পাঠানো হয়েছে।