সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানার তালাইমারী ফাঁড়ী পুলিশ বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেট-সহ ২জন মাদক কারবারীকে আটক করা-সহ ১টি মোবাইল ও ১টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। এ ব্যপারে তালাইমারী পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ফাঁড়ী ইনচার্জ এসআই প্লাবনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মো. সিজান (২৩) নামের একজনকে ইয়াবা-সহ আটক করা হয়েছে। ১টি মোবাইল ফোন ও ১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু ইয়াবা ট্যাবলেটের সংখ্যা কোন ভাবেই তিনি বলবেন না। কত পিস প্রশ্ন করলেই, উত্তর দেন ধরসি, ফের প্রশ্ন? ফের উত্তর ধরসি। এরপর স্যার ডাকছে বলে তড়িঘড়ি করে ফাঁড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সাথে সাথে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) একাধিকবার মুঠো ফোনে ফোন দেয়া হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে তিনি ফোন ধরা তো দূরের কথা সাথে সাথে কেটে দেন। ওইদিন রাত ১১টায় ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই প্লাবন বলেন, ১২পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সিজান বোয়ালিয়া থানাধীন হাদির মোড় এলাকার মৃত সুজন আলীর ছেলে অপর আসামী মাদকের মূল ডিলার আশিক (২৮), সে একই থানার হাদির মোড় নদীর ধার এলাকার মোঃ বাবলুর ছেলে। তবে তার ঠিকানা তালাইমারী শহীদ মিনার উল্লেখ করা হয়েছে।
এই আসামীদের তথ্য ও ইয়াবার সংখ্যা জানতে চন্দ্রিমা থানায় যায় সাংবাদিক ইফতেখার আলম বিশাল। ওসি তাকে বলেন, কোট থেকে এজাহার কপি নিতে হবে। ওসি আরও বলেন, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় পদ্মা আবাসিক এলাকার ৪ নং রোডে চেকপোস্ট পরিচালনাকালিন সময় একটি মোটরসাইকেল গতিরোধ করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদকের মুল ডিলার আশিক (২৮) মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেছে। পারর্তীতে সিজানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে প্যান্টের পকেট থেকে ১২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সিজান জানায়, পলাতক আসামি আশিকের প্রত্যক্ষ সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে মাদক সরবারহ করে আসছে।
এঘটনায় সিজানকে গ্রেফতার ও আশিককে পলাতক এছাড়া মাদক বহন কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ দেখিয়ে চন্দ্রিমা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে হাদির মোড় এলাকার একাধিক স্থানীয়রা বলেন, আশিক হাজার হাজার পিস ইয়াবা ট্যালেটের চালান নিয়ে আসে। ৬/৭জন কর্মচারী দিয়ে বিক্রি করে। গত মাসের ১৪ জানুয়ারি একই কায়দায় ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার ২জন সহযোগীকে তালাইমারী ট্রাফিক মোড়ের মাজেদা কমপ্লেক্সের সামনের সড়ক থেকে গ্রেফতারে করে মতিহার থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই পলাশ ও সঙ্গীয় ফোর্স। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪২২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আর সেই কারনে তারা বানেশ্বর থেকে ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে রাস্তা পরিবর্তন করে ভদ্রা আবাসিক দিয়ে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছিল। তারা আরও বলেন, ইয়াবার ডিলার আশিক কখনই ১২পিস ইয়াবা বহন করবে না। আর সে নিজের কাছেও মাদক রাখে না। তাই ইয়াবার সংখ্যা আর তালাইমারী ফাঁড়ি পুলিশের আচারণ রহস্য জনক!