
মোঃ আক্তারুজ্জামান, নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি –
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে যৌতুকের জন্য
নির্যাতনের শিকার মরিয়ম হাসপাতালে এখন
জীবনমৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করছে। আজ শুক্রবার
(০১/৭)হাসপাতালে গেলে এই দৃশ্য চোখে
পড়ে, তার আত্বচিকিৎকারে হাসপাতালে বাতাস যেন
ভারি হয়ে উঠছিল। কান্ন্জরিত কন্ঠে মরিয়ম এ
প্রতিনিধির কাছে তার উপর পাষন্ড স্বামীর
নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন। উপজেলার
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আবুদস
সাত্তার এর মেয়ে মরিয়ম আক্তারকে ওই গ্রামের
শিশু মিয়ার পুত্র মো. আলাদ হোসেন প্রেমের
ফাঁদে ফেলে গত ২০১৪ সালের ৪ অক্টোম্বর
কোর্টে ২য় স্ত্রী হিসাবে ইসলামী শরীয়া
মোতাবেক বিবাহ করে। বিবাহের সময় তার নিকট
থেকে তার স্বামী স্বর্ণালংকারসহ ৫ লাখ টাকা যৌতুক
নেয়। তারপর নানা অজুহাতে সে তার বাড়িতে না
উঠাইয়া বাসা ভাড়া করে তাকে রাখে। প্রথম স্ত্রীর
কু-পরামর্শে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে প্রায়ই তাকে
শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। স্বামীর শত অন্যায়
অত্যাচার সহ্য করে আসছিল মরিয়ম। এ অবস্থায় এক
সময় তার বাড়িতে উঠায় মরিয়মকে। এরপর প্রথম
স্ত্রী ও স্বামী মিলে বাপের বাড়ি থেকে
আরো টাকা পয়সা এনে দেওয়ার জন্য দিনের পর
দিন নির্যাতন করতে থাকে। তাদের নির্যাতনের
চাপে দুই দুইবার তার গর্ভের দুইটি বাচ্চা নষ্ট করতে
বাধ্য হয়। এবারও সে গর্ভবতী এরপরও থেমে
নেই সেই মানুষ রূপী পাষন্ড স্বামীর অত্যাচার,
আবারো ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে, অপারগতা
জানালে তার উপর চলে ষ্ট্রীমরোলার।
গত ২৭ জুন রাতে প্রথম স্ত্রী মর্জিনা বেগম ও
চাচা গোলাম মোর্শেদের পরামর্শে পরিকল্পিত
ভাবে তার হাত পা বেঁধে অমানবিক শারিরিক নির্যাতন
চালিয়ে বাড়ি থেকে তাকে বেড় করে দেয়
পাষন্ড স্বামী। গ্রাম্য পুলিশ তাকে আহত অবস্থায়
উদ্বার করে নবীনগর থানায় নিয়ে আসে। সেখান
থেকে থেকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্বামী, সতীন ও চাচা শশুড়কে আসামী করে শিশু
ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে পুলিশ চাচা
গোলাম মোর্শেদকে গ্রেফতার করে।
অভিযোগ পাওয়া যায়, অদৃশ্য কালো হাতে ছোয়ায়
পুলিশ বিবাদীকে বাচাঁতে মামলা আরর্জি পাল্টিয়ে
আসামী যাতে সহজে জামিন পেতে পারে
সেইভাবে অভিযোগটি এজাহার করে গত ২৯ জুন
গ্রেফতাকৃত আসামীকে কোটে চালান করলে
৩০ জুন গ্রেফতাকৃত আসামী জামিনে পেযে যায়।
আসামী জামিনে বেড়িয়ে এসে বাদীকে মিথ্যা
মামলায় ফাঁসানোসহ মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে বলে মরিয়ম
জানায়।এ ব্যাপারে ওসি (তদন্ত) মেজবাহ্ উদ্দিন
বলেন, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় অভিযোগটি
এজাহারভুক্ত করা হয়েছে, ম্যাজিষ্ট্রেট জামিন দিয়ে
দিলেতো আমাদের কিছু করার নাই ।