
নুরনবী সানী, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ- গ্রামের নিরীহ মেয়েদের সঙ্গে প্রথমে সখ্য গড়ে তোলেন বিভিন্ন প্রতারকরা। এরপর বন্ধুত্ব আর বিশ্বাস অর্জন। পরের ধাপে প্রেম নিবেদন। রাজি না হলে বিয়ের প্রস্তাব। তারপর বিভিন্ন মেয়েদের স্বজনদের সঙ্গেও এমন সম্পর্ক স্থাপন করেন যে, স্বজনরা প্রস্তাবে না করেন না। বিয়ে হলেই নিরীহ মেয়েগুলোর জীবনে নেমে আসে শান্তি। সম্প্রতি এ রকমই একটি ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজালের বাসিন্দা সামিয়া (১৯), পিতা- কিরণ মিয়া, মাতা- ডলি বেগম নামে একটি মেয়ের সাথে। তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মোঃ সোহেল মিয়া (৩০), পিতা- মোঃ আবু হানিফ, সাং- উত্তর আগরপুর, পোঃ আগরপুর, থানা- শিবপুর নামে একজন নরপশু প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে বিবাহ করে। বিবাহের পর কিছুদিন যেতে না যেতেই পাষন্ড মোঃ সোহেল সামিয়াকে মোটা অংকের যৌতুকের জন্য অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া শুরু করে। পরে সামিয়ার বাবা-মা মেয়ের সুখের জন্য সোহেল কে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করে। কিছুদিন পর সোহেল তার স্ত্রী সামিয়াকে যৌতুকের জন্য আবার চাঁপ দিতে থাকে। সামিয়া যৌতুকের টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সে সামিয়াকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করে। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় যে, সোহেলের চরিত্র খুবই খারাপ এবং সে কিছুদিন পরপরই বিয়ে করে। তার বিবাহ তালিকা অনেক লম্বা। এদিকে সামিয়ার সাথে বিয়ের পর থেকেই সোহেল মিয়া ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন যৌতুকের জন্য গৃহবধু সামিয়া বেগমের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। অভিযোগ উঠেছে, গত ১০/৩/১৮ ইং তারিখ শনিবার রাতে স্বামী সোহলে মিয়া, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি গৃহবধু সামিয়া বেগমের পূনরায় যৌতুক দাবী করে। এসময় ওই গৃহবধু তার পরিবারের কাজ থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এসময় তারা তাকে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। তার অবস্থা গুরুতর হতে দেখে সামিয়ার স্বজনরা তাকে রায়পুরা তুলাতলী স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ভর্তি করান। এ ঘটনায় সামিয়ার স্বজনরা শিবপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন বিচার না পেয়ে অসহায় অবস্থায় তারা ১১ তারিখ নরসিংদী আদালতে এসে এডভোকেট আয়েশা আক্তার চম্পার নেতৃত্বে একটি মামলা দায়ের করেন।আহত গৃহবধু সামিয়া বেগম জানান, তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে তাকে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে।পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেয়।