
নুরনবী সানী (নরসিংদী প্রতিনিধি)নরসিংদীর
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পৃথক ৩ দুর্ঘটনার নিহত হন সাধারণ এই মানুষরা।জানা যায়, নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরার চারারবাঘ এলাকায় ৪ মোটরসাইকেল আরোহীকে বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন,সোহাগ(১৭), ইয়ামিন(২৩),রমজান(১৭)ওডালিম(১৭)।তাড়া সবাই মরজালে উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, রায়পুরার মরজাল এলাকা থেকে ৪ জন একটি মোটরসাইকেলে ভৈরবের দিকে যাচ্ছিলেন । মোটরসাইকেলটি ভৈরবের সীমান্ত এলাকা চারারবাঘ পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অনন্যা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সেটিকে ধাক্কা দেয়।
এসময় চার আরোহী মোটরসাইকেল নিয়ে বাসের নিচে ঢুকে গেলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ সময় প্রায় ২০ মিনিট সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ভৈরব থানায় নিয়ে যায়।
অন্যদিকে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নরসিংদী সদর উপজেলার বাগহাটা এলাকায় মোটরসাইকেলে চড়ে পাঁচদোনা থেকে নরসিংদীর দিকে যাওয়ার পথে মাধবদীর আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মানসুরা বেগমের মোটরসাইকেলকে একটি প্রাইভেট কার ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলটি ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই আমিনুল ইসলাম ও মানসুরা বেগম নিহত হন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দউজ্জামান জানান, খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল দুটিই বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
এর কিছুক্ষণ পরই সোয়া ১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদী বাসস্ট্যান্ডের অদূরে আরেক সড়ক দুর্ঘটনায় এক রিকশাচালক ও রিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস জানান, মাধবদী বাসস্ট্যান্ডের কাছেই ঢাকা থেকে সিলেটগামী একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি রিকশাকে চাপা দেয়। এতে রিকশার যাত্রী মকবুল হোসেন ও রতন মিয়া এবং রিকশাচালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহত মকবুল হোসেনের বাড়ি মাধবদী থানার বিরামপুর মহল্লায়। তিনি কাপড় ব্যবসায়ী। রতন মিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহ। নিহত রিকশাচালকের নাম জানা যায়নি। তবে তার বাড়ি আমদিয়া ইউনিয়নের বেলাতি গ্রামে