
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নের চিয়ড়া গ্রামে একটি পরিবারের অনৈতিক কাজে বাধা দেয়ায় একই গ্রামের চৌধুরী মিয়া মজুমদারের ছেলে ইসহাক মজুমদারের উপর সম্প্রতি হামলা ও তার পরিবারের উপর মিথ্যা অপপ্রচারের চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানায় ইসহাক মজুমদার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভূক্তভোগিরা জানায়, চিয়ড়া গ্রামের মজুমদার বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় নূরজাহান বেগমের স্বামী পরিতক্ত্যা মেয়ে তফুরা, ও নাতনি পান্না, এছাড়া, মেয়ে চফুরা এবং নাতনি ঝর্ণা, সিরিনা ও তার ভাইয়ের মেয়ে রোমনার অনৈতিক কাজ ও মাদক সেবীদের আড্ডায় বাধা দেয়ায় একই গ্রামের ইসহাক মজুমদারের উপর হামলা ও তার পরিবারের লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ওই নারীদের সাথে অপপ্রচারে সহযোগীতা করছে তাদের অনৈতিক কাজের কিছু বখাটে ও এলাকার মাদক সেবীরা। ওই নারীদের সবারই একাধিক বিবাহ হয়েছে, সবাই তাদের স্বামীর বাড়ীতে অন্য পুরুষদের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠায় তারা চিড়য়া গ্রামে অবস্থান করছে। তারা এখন এখানে একত্রিত হয়ে মাদক ও অনৈতিক কাজ করতে প্রতিরাতে কিছু যুবক জড়ো করে অপর্কম চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ কাজে বাধা কেউ বাধা দিলেই তাদের চরিত্র হণন ও অপপ্রচার চালায় তারা।
পান্নার স্বামী ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরের ফতেপুর গ্রামের জামাল হোসেন বলেন, আমার নানী শাশুড়ী থেকে শুরু করে তাদের পরিবারের প্রত্যেকটি মেয়ে একাধিক ফোন ব্যবহার করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার স্ত্রীও আমার বাসায় কয়েকবার অনৈতিক কাজে হাতে নাতে আটক হয়। পরে আবার গ্রামের সালিশদারদের কাছে মুছলেকা দিয়ে আমার সংসার করছে।
এ ব্যাপারে ইসহাক মজুমদার বলেন, তাদের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে অসংখ্যবার বিচার সালিশ করে তাদেরকে সর্তক করা হয়েছে। তাদের কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংশের পথে। কিন্তু তারা এ কাজ অব্যাহত রাখায় আমি তাদেরকে আমার বাড়ীর পাশে এসব অপর্কম করে পরিবেশ নষ্ট না করার জন্য অনুরোধ করলে তারা আমার উপর হামলা করে। এবং কিছু মাদক সেবী সহ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের পারিবারিক সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমি এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।