নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি-নাঙ্গলকোটে ৬ষ্ঠ ধাপের ২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গতকাল শনিবার সরকারদলীয় প্রার্থীদের কেন্দ্র দখল, প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় সিল মারা এবং বিভিন্ন কেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে সংঘর্ষে ৪জন গুলিবিদ্ধ সহ অন্তত ৩০জন আহত হয়েছে।
এছাড়া কেন্দ্র দখল এবং ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে রিটার্নিং অফিসার পেড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শ্রীফলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন। এদিকে পেড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্র্থর্াী অ্যাডভোকেট আবুল বাশার নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের, ভোট কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া, ভোটারদেরকে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ব্যালট না দিয়ে সদস্য প্রার্থীদের ব্যালট দেয়া এবং সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর নৌকা প্রতিকে প্রকাশ্যে সিল মারার অভিযোগে পেড়িয়া ইউপি কার্যালয় প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে সকাল ১১টায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। এছাড়া হেসাখাল ইউপি বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিকে হেসাখাল ইউপির হেসাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থী আবুল বশর এবং ফরহাদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালালে ৪জন গুলিবিন্ধ হয়েছে। একই ইউপির দায়েমছাতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থী সহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া ও আবুল হাশেমের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ইউপি সদস্য প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া সহ অন্তঃত ৫জন আহত হয়েছে। শ্রীফলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১০টায় কেন্দ্র দখল এবং ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে পুলিশের পিটুনিতে অন্তঃত ১০জন আহত হয়েছে। হামলায় আহতরা হলেন-সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল হামিদ, মহিন উদ্দিন, মিজান, মাসুদ, তাজুল ইসলাম, আলাউদ্দিন সহ অন্তঃত ১০জন আহত হয়। এছাড়া উত্তর শাকতলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া এবং সংষর্ষের ঘটনা ঘটে।