
সাইফুল ইসলাম:- নাঙ্গলকোটে গোখরা নাগ-নাগিনী সাপসহ বিপুল পরিমাণ গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১০ এফ্রিল মঙ্গলবার ও ১২ এফ্রিল বৃহষ্পতিবার উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান খানের বাড়িতে দু‘দফায় সাপুড়েদের চেষ্টায় এবং বাড়ির মালিক অভিযান চালিয়ে গোখরা সাপ এবং সাপের বাচ্চা উদ্ধার করেন। গোখরা সাপ ধরাসহ বিপুল পরিমাণ সাপের বাচ্চা উদ্ধারের খবরে উৎসুক এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। বাড়ির মালিক ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান খান বলেন- গত ৯এফ্রিল রাতে বাড়ির ভবনের ঘরের মেঝেতে কয়েকটি সাপের বাচ্চা চলাফেরা করতে দেখা যায়। এসময় ১০/১২টি সাপের বাচ্চ মারা হয়। পরেরদিন ১০এফ্রিল কুমিল্লার ইলিয়াটগঞ্জ থেকে সাপুড়ে আলহাজ জারু মিয়াকে সাপ ধরার জন্য ডাকা হয়। সাপুড়ে জারু মিয়া রান্না ঘরে তুস পড়া দিয়ে দুইটি গোখরা নাগ- নাগিনী সাপ ধরেন। পরে আবার কড়ি পড়া দিয়ে রান্না ঘরের পিছন থেকে একটি এবং গোয়াল ঘর থেকে আরো একটি গোখরা সাপ ধরেন। এসময় একটি সাপ মারা যায়। সাপুড়ে তিনটি সাপ নিয়ে যায়। এছাড়া বাড়িতে গোখরা সাপের বাচ্চা থাকার সন্দেহে আমরা ঢাকা থেকে এক সাপুড়ের মাধ্যমে চালান দেই। সাপুড়ে চালান দেয়ার পর বাড়ির ভবনের পিছনে বিপুল পরিমাণ গোখরা সাপের বাচ্চা আছে বলে জানান। যাদের এখনও কান ফুটে নাই। গত ১২এফ্রিল বৃহষ্পতিবার সকালে বাড়িতে বদলা রেখে বাড়ির ভবনের পিছনে তল্লাশি দেয়া হয়। এক পর্যায়ে বাড়ির ভবনের পিছনের ইটের কংক্রীটের নিচে খুঁজতে গেলে বিপুল পরিমান গোখরা সাপের বাচ্চা দি¦গ- বিদ্বিক ছুটতে থাকে। এসময় বাড়ির বদলাসহ এলাকাবাসী প্রায় ৫৪টি গোখরা সাপের বাচ্চা মেরে ফেলেন। আরো প্রায় অর্ধ শতাধিক গোখরা সাপের বাচ্চা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। নুরুজ্জামান আরো বলেন- গোখরা সাপ ধরা এবং গোখরা সাপের বাচ্চাদের মারার ফলে ভবিষ্যতে সাপের দংশন থেকে পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসী রক্ষা পেয়েছে।