
কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বায়েরা গ্রামের আবু তাহের মিয়াজীর বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র চলাচলের রাস্তা টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে জোর পূর্বক তার জমির উপর দিয়ে নিজেদের চলাচলের রাস্তা নিমার্ণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই বাড়ির ফেয়ার আহম্মদ মিয়াজী, ওবায়েদ মিয়াজী, আব্দুস সাত্তার মিয়াজী, মোবারক মিয়াজী ও রফিক মিয়াজীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সামাজিক ভাবে ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে কয়েক দফা সালিস বৈঠক বসার পরও কোন সুরেহা হয়নি। অভিযুক্তরা আবু তাহের ও তার পরিবারকে মারপিট, বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের হুমকি দিচ্ছে বলে দাবী করেন ভূক্তভোগী আবু তাহের মিয়াজী। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগী পরিবার।
ভূক্তভোগী আবু তাহের মিয়াজী বলেন, আমার মা এবং আমরা ৩ ভাই ও ৫ বোনের নামে যৌথ ভাবে বি.এস-২৩৮ নং খতিয়ান হয়। এ খতিয়ানে আমাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি ছাড়াও ভুল বসত আমাদের তিন ভাইয়ের ক্রয়কৃত জমিও অর্ন্তভূক্ত করা হয়। এ খতিয়ান থেকে ২০১৪ সালে বিএস ১৩৬৭ দাগে পাকা রাস্তা থেকে পূর্ব দিকে লম্বায় ১ শতক জমিন আমার ভাই আবুল হাসেম তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে রেজিষ্ট্রি করে দেয়। পরে ২০১৫ সালে নাজমা তার এ ১ শতক জমি বিক্রি করতে চাইলে আমি ক্রয় করে নিয়ে কয়েক বছর যাবৎ আমার বাড়ির চলাচলের পথ হিসেবে ব্যবহার করি। ২০২৩ সালে আমার প্রতিপক্ষ গোপনে আমার বোন রাবেয়া বেগমের নিকট থেকে হিস্যা বহিঃভূত ভাবে মসজিদের কথা বলে একই স্থানে ১শতক জমিন ওয়ার্কফ নেয়। এর কিছু দিন পর ফেয়ার আহম্মদ মিয়াজী তার সীমানায় টিনের বেড়া দিয়ে আমার বাড়ির একমাত্র চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। পথ বন্ধ করে দেয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের পরিবারকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখন আমরা দক্ষিণ দিকে স্থানীয় অপর একজনের জমি ব্যবহার করে চলাচল করছি। যেহেতু এ জমিতে আমার বোন হিস্যা অনুযায়ী ১শতক জমিন পায় না এবং একই চৌহদ্দিতে ২০১৫সালে আমার কবলা আছে তাহলে এই জমির মালিক আমি। কিন্তু আমার বাড়ির পথ বন্ধ করে দেয়া ব্যক্তিরা এ জমি মসজিদের দাবি করে জোর পূর্বক নিজেদের বাড়ির পথ নির্মাণের চেষ্টা করছে ও বিভিন্ন ভাবে আমার ব্যাপারে অপপ্রচার এবং আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
অভিযুক্ত ফেয়ার আহম্মদ মিয়াজী বলেন, আবু তাহের মিয়াজী আগে দক্ষিণ দিকের রাস্তা বন্ধ করেছে। পরে আমি বাড়ি ঘর করায় তার চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবু তাহের যে জায়গায় রাস্তা নির্মাণ করতে বাঁধা দিয়েছে এ জায়গা তার বোন রাবেয়া বেগম আমাদের মসজিদের নামে ২০২৩ সালে ওয়ার্কফ দিয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ এ.কে ফজলুল হক বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।