কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে কিশোর প্রেমিক যুগলের মৃত্যুর চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে মূষূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে এ আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের বান্নাগর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মাঈন উদ্দিনের মেয়ে ঝুমুর আক্তার (১৬), মক্রবপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী। একই ক্লাসের সহপাঠী পাশ্ববর্তী লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের নাওটি গ্রামের এছহাক মিয়ার ছেলে আদিল হোসেন (১৬) এর সাথে ২ বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে ঝুমুরের বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে আদিল প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যায়। রাত ১১ টার দিকে বাড়ির অন্য পরিবারের লোকজন তাদের ঘরে পুরুষ কন্ঠের আওয়াজ শুনে সন্দেহ করে ঝুমুরকে দরজা খুলতে বললে সে দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানায়। বাড়ীর লোকজনের শোর চিৎকার করলে গ্রামের লোকজন ঝুমুরদের বাড়িতে এসে জড়ো হয়। এ অবস্থায় আদিল ও ঝুমুর লোক লজ্জার ভয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিঁয়ে আতœহত্যার চেষ্টা করে না পেরে টেবিলে থাকা কাঁচের গøাস ভেঙ্গে নিজেদের গলায় আঘাত করে দ্বিতীয় বার আতœহত্যার চেষ্টা করে। এসময় বাড়ির লোকজন দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। দু’জনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ আ স ম আব্দুর নূর বলেন, আমি এ ব্যাপারে অবগত নই। আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।