বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পক্ষ থেকে স্থানীয় বাঙ্গড্ডা বাজারে শুক্রবার মাদক বিরোধী র্যালী ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ওই সেমিনারে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের লক্ষীপদুয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লক্ষীপদুয়া গ্রামের ইব্রাহীম খলিল (২৩) নামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের শাহাদাত হোসেন (২০), নাজমুল (২১) ও শাওন (২০) নামে তিন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে। আহত ইব্রাহীম খলিল লক্ষীপদুয়া গ্রামের মোহাম্মদ বাবুলের ছেলে। পরে খবর পেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নাঙ্গলকোটের সমন্বয়ক আবির, রাসেল, ফরহাদ, আনোয়ার ও ফাতিন নূর ছাত্র আন্দোলন নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইব্রাহীম খলিলকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টায় নাঙ্গলকোটের বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন সমন্বয়কদের উপস্থিতে ইব্রাহীম খলিলের পিতা বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ফরহাদ ও ফাতিন নূর বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলন সর্বপ্রথম নাঙ্গলকোট উপজেলার মধ্যে বাঙ্গড্ডা থেকে শুরু করি, তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার র্যালির মাধ্যমে বাঙ্গড্ডা ও আশেপাশের ইউনিয়নে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করি। যতদিন পর্যন্ত মাদক নির্মূূল না হচ্ছে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আহত ইব্রাহীম খলিল আমাদের কমিটির সদস্য, আমরা তাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টাকারী মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাই।
আহত খলিলের পিতা মোহাম্মদ বাবুল বলেন, আমার ছেলেকে স্কুল মাঠে প্রকাশ্যে এলোপাতিড়ি কুপিয়ে আহত করেছে মাদক কারবারি শাহাদাত, নাজমুল ও শাওন। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এ নিষ্ঠুরতার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ এ.কে ফজলুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।