নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি-
নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা ইউপির কাকৈরতলা গ্রামের রুহুল আমিন (৬০) কে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে ভাতিজা বেলাল কর্তৃক পিটিয়ে ও মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদ্রা ইউপির কাকৈরতলা গ্রামের রুহুল আমিনের সাথে তার ভাই মৃত আইয়ুব আলীর দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তির বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৩১ মার্চ সকালে রুহুল আমিন তার নিজস্ব সম্পত্তিতে ধান কাটছিলেন। ওই সময় তার ভাতিজা বেলাল হোসেন রুহুল আমিনকে ধান কাটতে বাধা প্রদান করেন এবং তাকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে রুহুল আমিন বাড়িতে চলে আসেন। রুহুল আমিন বাড়িতে আসার পর বেলাল হোসেন তাকে গালমন্দ করেন এবং হত্যার হুমকি প্রদান করেন। একইদিন রাতে রুহুল আমিন তার গোয়াল ঘরে গরুর খাবার দেওয়ার জন্য বের হন। গোয়াল ঘর থেকে বের হয়ে বসত ঘরে প্রবেশ করার সময় বেলাল জোরপূর্বক রুহুল আমিনের মুখে বিষ ঢেলে দেন। এসময় রুহুল আমিন চিৎকার করে বলতে থাকেন, বেলাল আমাকে বিষ খাইয়ে দিয়েছে। আমাকে বাঁচাও। পরে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে দ্রুত কুমিল্লার বেসরকারি মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ভর্তি করার পরই কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, রুহুল আমিনের রুহুল আমিনের লাশ গ্রামের বাড়িতে আনার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য খোকন মেম্বারের নেতৃত্বে লাশ দাফন করা হয। রুহুল আমিনের পুত্র সšতান না থাকায় তার তিন মেয়ের জামাতারা মামলা দেয়ার প্র¯তুতি গ্রহণ করলে খোকন মেম্বার তিন মেয়েকে ধমক দেয় এবং মেয়েদেরকে খোকন মেম্বার বলেন, কেউ জিজ্ঞাসা করলে তাদের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে সবাইকে বলতে বলেন। রুহুল আমিনের হত্যা নিয়ে এলাকায় জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, রুহুল আমিনের হত্যা নিয়ে এলাকার সমাজপতিদের মধ্যে বিশাল অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ১৬ এপ্রিল শনিবার সালিশ বৈঠক হবার কথা ছিল। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
আদ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান খান দোলন বলেন- মৃত্যু সংবাদটি পুলিশের মাধ্যমে পেয়েছি।। যেহেতু রুহুল আমিনকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তাই পুলিশকে আইনানুগভাবে দাফনের জন্য অনুরোধ করি।