মো: কামাল হোসেন জনি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে শশুর বাড়িতে এসে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারল পাষন্ড স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আদ্রা ইউপির দক্ষিণ শাকতলি গ্রামে। সে ওই গ্রামের আবুল বাশার চৌকিদারের মেয়ে মুন্নি বেগম (২২)।
এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ বছর পূর্বে উপজেলার আদ্রা ইউপির দক্ষিণ শাকতলি গ্রামের আবুল বাশার চৌকিদারের মেয়ে মুন্নি বেগমের সাথে পাশ্ববর্তি লাকসাম উপজেলার পশ্চিম বাতাখালী গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে ওমর ফারুকের শুভ বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে ওমর ফারুক তার স্ত্রী মুন্নি বেগমকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করত। গত কিছু দিন আগে ২০ হাজার টাকার জন্য মুন্নি বেগমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে আবুল বাশার চৌকিদার মেয়ে মুন্নিকে নিজ বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার দক্ষিণ শাকতলি গ্রামে নিয়ে আসে। পরে গত বৃহস্পতিবার ভোরে ওমর ফারুক শশুর বাড়িতে গিয়ে দরজা টোকাতে থাকলে স্ত্রী মুন্নি এসে দরজা খোলার সাথে সাথে ওমর ফারুক তার স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুণ ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। মুন্নির চিৎকার শুনে এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। মুন্নির অবস্থা অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করেন। টাকার অভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন।
খবর পেয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার শাহ মো: আবীদ হোসেন দশ হাজার টাকা, নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলাম পিপিএম দশ হাজার টাকা, এস আই আশ্রাফুল ইসলাম ২ হাজার টাকা, নাঙ্গলকোট প্রেস ক্লাবের সভাপতি এএফএম শোয়ায়েব ১ হাজার টাকা ও এসআই মজিবুর রহমান ৫ শত টাকা দিয়ে আহত মুন্নি বেগমকে চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করেন। বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলাম পিপিএম নয়া আলো”কে জানান, নিহতের ঘটনায় আবুল বাশার চৌকিদার বাদি হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় দুই জনকে আসামি মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার ভোরে লাকসাম উপজেলার পশ্চিম বাতাখালী এলাকা থেকে স্বামী ওমর ফারুক ও শাশুড়ি পারভিন বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।