নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:- রাজশাহীর তানোরে গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু বরণ করা মমিন নিয়তির কাছে হার মানলে ও জীবনের পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছেন। গত ২০১৭ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর প্রকাশ হওয়া জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলে তার স্বজনরা জানতে পারেন মমিন (১৫) জেডিসি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছেন। সে ইলামদহী দাখিল মাদ্রাসা থেকে জিপিএ ২.৫৬ পেয়ে উত্তীর্ন হয়েছেন। হতভাগা মমিনের উত্তীর্ন হওয়ার খবর শুনে তার হতভাগা মা মঞ্জুয়ারা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। উল্লেখ্য, গত ২২ শে ডিসেম্বর দুপুর ২টার দিকে নারায়নপুর গ্রামে ১১হাজার ভোল্টে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আকস্মিক মৃত্যু হয় মমিনের। নিহত মমিন উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন এলাকার ইলামদহী গ্রামের দিনমজুর কাবিলের পুত্র। সে এবার ইলামদহী দাখিল মাদ্রাসা থেকে জেডিসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ন হয়েছেন। গত বছরের শেষ শুক্রবার উপজেলার ইলামদহী গ্রামের হামিদের পুত্র হালিম নারায়নপুর গ্রামের সাদেকের বাড়ীর সামনে একটি ছোট আমের গাছ কিনেন। সে গাছ কাটতে দুপুর ২টার দিকে শ্রমিক হিসেবে তার হতভাগা মাকে না জানিয়ে টাকার প্রলোভনে গাছের ডাল কাটতে নিয়ে আসেন মমিনসহ আরো ২জনকে। গাছের ডালের ভিতর বা সামান্য উত্তর দিক দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টেজের লাইন দেয়া আছে। মমিন গাছের ডাল কাটা মাত্রই ১১ হাজার ভোল্টের তারে জড়িয়ে পড়তে দেখে গ্রামবাসী পল্লী বিদ্যুত অফিস ও থানায় খবর দেন। পরে থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করে শেষে শনিবারে দিন দাফন সম্পন্ন করে। আর দুঘর্টনার দিন শুক্রবারে রাতেই মমিনের মা মঞ্জুয়ারা বেগম বাদি হয়ে হালিমকে আসামি করে তানোর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে পালিয়ে থাকা প্রভাবশালী আসামি হালিম ১২দিন পর আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনে মুক্তি পান। এরপর থেকে মামলা তুলে নিতে আসামী হালিম নানা প্রলোভনে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন। নাবালক মমিনের মা ছেলের ন্যায্য বিচারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে তানোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, মমিনের পরিবারকে মামলা তোলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে