
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি :
নড়াইলের কোটাকোল ইউনিয়নের উপনির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আ’লীগ নেতার বাড়িসহ ৪টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষের ৩ টি গরু ও নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে গেছে। হামলায় মহিলাসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত ৯ টার দিকে এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের কোটাকোল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে গত ১৬ এপ্রিল উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মারিয়া হোসেন ও খান জাহাঙ্গীর আলম প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। নির্বাচনে মারিয়া হোসেন বিজয়ী হয়। বিজয়ী প্রার্থীর লোকজন পরাজিত প্রার্থীর লোকজনদের ওপর হামলা-মামলা ও অব্যাহত ভাবে লুটপাট করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাত ৯ টার দিকে মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের জাফর মুন্সীর নেতৃত্বে আজমল,মিল্লাত, নান্নু, শাহেনশাহ, আনোয়ার, এরশাদসহ ৩০-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী রামদা, লাঠি, সড়কি নিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে কোটাকোল ইউ’পি সদস্য ও ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি শহিদুল মোল্যা, আসাদ মোল্যা,জাহাঙ্গীর মোল্যা ও হাসেনের বাড়ি ভাংচুর করে ২১ হাজার টাকা ও জাহাঙ্গীর মোল্যার ১ টি ও আসাদ মোল্যার ২ টি গরু লুট করে করে পালিয়ে যায়। লুটপাটে বাঁধা দিতে গেলে তাদের হামলায় জাকির মোল্যা,শাবানা বেগম ও জেসমিন আক্তার আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে থানার এস.আই প্রবীর দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।