উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: – মতুয়া মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের হাতিয়াড়ায় এগারোখান-হাতিয়াড়া গ্রামবাসীর আয়োজনে এ মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবাসের মধ্যদিয়ে মতুয়া মহাসম্মেলনের কর্মসূচি শুরু হয়। দিন ব্যাপী পালিত হয় হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের জীবন দর্শন নিয়ে ধর্মীয় আলোচনা, কবিতা পাঠ, ভক্তিমূলক গান, প্রসাদ বিতরণ সহ নানা কর্মসূচি। সম্মেলন চলাকালে ফিতা কেটে নবনির্মিত মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রফেসর ডা. বিধান চন্দ্র গোস্বামী। মতুয়া সম্মেলনে সহকারী অধ্যাপক শংকর কুমার পাঠকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস। এসময় উদ্বোধক ছিলেন খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র গোসামী। পৌরহিত্য করেন মতুয়াচার্য্য গৌরাঙ্গ কুমার শিকদার এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জজকোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, সহকারী অধ্যাপক বিকাশ কুমার আসবা, সহকারী অধ্যাপক শৈলেন্দ্রনাথ সরকার, সহকারী অধ্যাপক গৌর চন্দ্র গাইন, সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার বিশ্বাস, প্রভাষক রমেশ চন্দ্র বাইন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তারক চন্দ্র বিশ্বাস, গণেশ চন্দ্র অধিকারী, নড়াইলে কর্মরত সিআইডি পরিদর্শক কাঞ্চন অধিকারী, হাতিয়াড়া সার্বজনিন মহাশ্মশান মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস পাঠক, সাংগঠনিক সম্পাদক মলয় কুমার বিশ্বাস, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক শচীন্দ্রনাথ শিকদার, অ্যাডভোকেট কংকন পাঠক, প্রাক্তন শিক্ষক কালিপদ সরকার, শিক্ষক মিহির রঞ্জন বিশ্বাস, শিক্ষক বিলাস কুসুম সরকার প্রমুখ। এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, দৈনিক ভোরের বাংলার প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, একই পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান শাওন, ক্লাবটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ সহ আরো অনেকে। সম্মেলনস্থলে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভক্তবৃন্দদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন সাত সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম। মেডিকেল টিমের নেতৃত্ব দেন ডা. শুভ্র প্রকাশ শিকদার। মতুয়া মহাসম্মেলনে এগারোখান এলাকার ১৮টি দল সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মোট ২১টি মতুয়া দল অংশগ্রহণ করে। বৃহস্পতিবার রাতে অধিবাসের মধ্যদিয়ে মতুয়া মহাসম্মেলনের কর্মসূচি শুরু হয়। দিনব্যাপী পালিত হয় হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের জীবন দর্শন নিয়ে ধর্মীয় আলোচনা, কবিতা পাঠ, ভক্তিমূলক গান, প্রসাদ বিতরণসহ নানা কর্মসূচি।