
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি :
নড়াইলের কাশিপুর ইউনিয়নের অনুকুলে গত অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত এলজিএসপির ৫টি প্রকল্প কাজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ওই ইউপি’র চেয়ারম্যান, সচিব, প্রকল্প সভাপতি ও ঠিকাদারসহ ৫ জনের নামে মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতে থানায় পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করেছেন দূর্নীতি দমন কমিশন (দু’দক) যশোর সমন্মীত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ শহীদুল ইসলাম। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের পাঠানো রিপোর্টে, (বুধবার ৩১-৫-২০০১৭) দায়েরকৃত মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, সরকার ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দ্বিতীয় লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি) ৫টি প্রকল্পের অধীনে নড়াইলের কাশিপুর ইউনিয়নে ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ১ শত ৭৩ টাকা বরাদ্দ করে। বরাদ্দকৃত প্রকল্পের মধ্যে বসুপটি গ্রামের রবিউলের বাড়ি হতে মোল্যা পাড়া অভিমুখে ১৬০.৮ মিটার রাস্তা ইটের সোলিং দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার মধ্যে ৬৭ হাজার ৪ শত ৪৫ টাকার কাজ করে। বাকি ১ লক্ষ ২০ হাজার ৫ শত ৫৫ টাকার কাজ না করে ইউপি সচিব নূরুল ইসলাম ও আ’লীগ নেতা চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান যোগসাজগে আত্বসাৎ করে। বরাদ্দকৃত প্রকল্পের মধ্যে একই ইউপির শালবরাত গ্রামের টুকু শেখের বাড়ি অভিমুখে রাস্তা ইটের সোলিং দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার মধ্যে ৬৮ হাজার ৭৪ টাকার কাজ করে। বাকি ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৯ শত ২৬ টাকার কাজ না করে ইউপি সচিব নূরুল ইসলাম ও লাইসেন্স বিহীন ঠিকাদার পিকুল যোগসাজগে আত্বসাৎ করে। বরাদ্দকৃত প্রকল্পের মধ্যে কাশিপুর ঈদগাহ হতে ইসমাইল খার বাড়ি অভিমুখে রাস্তার দু’পাশে মাটি দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ ১৭ হাজার ১ শত ৭৩ টাকার মধ্যে ৭৯ হাজার ৭ শত ৬৪ টাকার কাজ করে। বাকি ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪ শত ৯ টাকার কাজ না করে ইউপি সচিব নূরুল ইসলাম ও নড়াইলের রামপুর গ্রামের মৃত জব্বার শেখের ছেলে প্রকল্প সভাপতি এস এম আলমগীর কবির যোগসাজগে আত্বসাৎ করে। এড়েন্দা আদিবাসী পাড়া হতে ফুটবল মাঠ অভিমুখে রাস্তা ইটের সোলিং দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার মধ্যে ৬১ হাজার ২ শত ৭৬ টাকার কাজ করে। বাকি ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৭ শত ২৪ টাকার কাজ না করে ইউপি সচিব নূরুল ইসলাম ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ঠিকাদার মঞ্জুরুল করিম মুন যোগসাজগে আত্বসাৎ করে। নড়াইলের ধোপাদাহ গ্রামের ইপতিয়ারের বাড়ির অভিমুখে রাস্তা ইটের সোলিং দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার মধ্যে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬ শত ৯৩ টাকার কাজ করে। বাকি ৪৪ হাজার ৩ শত ৭ টাকার কাজ না করে ইউপি সচিব নূরুল ইসলাম ও ধোপাদাহ গ্রামের ঠিকাদার ইবাদুল শেখ যোগসাজগে আত্বসাৎ করে। উল্লেখিত ৫টি প্রকল্পের কাজে মোট ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯ শত ৭৪ টাকা অত্বসাতের অভিযোগে দূর্নীতি দমন কমিশন যশোর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মোঃ শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতে থানায় ৫টি পৃথক মামলা দ্বায়ের করেন। এ ছাড়াও চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জিআর,টিআর,কাবিখা,কাবিটা প্রকল্প ও ভিজিএফ এর চাল আত্মসাতের তদন্ত দু’দকে চলমান রয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, থানায় ৫টি পৃথক মামলা দ্বায়ের করেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।