
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■
নড়াইলের কুন্দসী পালপাড়ায় গভীর রাতে দুটি বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই দুটি পরিবারের ঘরবাড়িতে তিন বছরে চারবার এবং একইপাড়ার আরো দুটি বাড়িতে একবার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফলে পালপাড়ার বাসিন্দারা আতংকে আছে। গতকাল নড়াইলের কুন্দসী পালপাড়ার পরিতোস পাল(৫৫) ও শিবু কুমার পাল(৪৭) জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আমরা রাতে ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু দিবাগত গভীর রাত ৩টার দিকে আমাদের কাজেরঘর ও পার্শ্ববর্তী গোয়ালঘরে হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আমরা আগুনেপোড়া শব্দ ও গন্ধ পেয়ে বাহিরে বের হয়ে দেখি ঘরে আগুন জ্বলছে। আমরা আগুন আগুন বলে চিৎকার-চেচামেচি করলে গ্রামের লোকজন ছুটে আসে এবং প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। পরিতোস পাল জানান, আগুনে আমার কাজেরঘর ও গোয়ালঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পুড়ে গেছে অনেক টাকার খড় । দুটি গরুও আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পরিতোস পালের ভাই পার্শ্ববর্তী শিবু কুমার পাল জানান, আগুনে আমার ১টি গোলয়ালঘর ও ১টি গরু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পরিতোস পাল ও শিবু কুমার পাল আরো জানান, ২০১৬ সালের ২৩ মে দিবাগত গভীর রাতে পালপাড়ার শিবনাথপাল, শিবু কুমার পাল, নিরোদ চন্দ্র পাল এর বাড়িতে একই সাথে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ৪/৫টি ঘর সংলগ্ন নাড়ারপালা,খড়েরপালা, কাজেরঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি এবং ২৫ অক্টোবর আমাদের বাড়িতে(পরিতোস পাল ও শিবু কুমার পাল) এ ধরণের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। একইপাড়ায় তিন বছরে চারবার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এখন আমরা আতংকের মধ্যে আছি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিতোস পাল ও শিবু কুমার পাল বলেন, এপাড়া থেকে আমারে উচ্ছেদ করবার জন্য কেউ না কেউ পরিকল্পিতভাবে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটাচ্ছে। তবে, কারো সাথে আমাদের কোন শত্রুতা বা বিরোধ নেই। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হবার পর আমরা ২০১৬ সালের ২৬ মে নড়াইলের জেলা প্রশাসকের নিকট নিরাপত্তা চাওয়াসহ ঘটনা তদন্তের জন্য আবেদন করেছিলাম। এর পরেও তিনবার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে,নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়, বলেন, খবর পেয়ে রাতেই আমার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেয়নি। এটি দূর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তবে, তাদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।এলাকাবাসী পালপাড়ায় বারংবার অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি গভীর তদন্তের দাবি জানিয়েছে।