
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রত্যুষে ৩১বার তপোধ্বনির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম, সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এমএম গোলাম কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পৌর মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ নড়াইলের উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মাহবুবুর রশীদ, নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা সেলিম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা রহমান কবিতা, জেলা জাসদের সভাপতি এ্যাডভোকেট হেমায়েত উল্ল্যাহ হিরু, ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, প্রেসক্লাবসহ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া জজকোর্ট সংলগ্ন চিত্রা নদীর পাড়ে বধ্যভূমি, রূপগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বরে গণকবর, পুরাতন বাস টার্মিনাল ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন নড়াইল সদর উপজেলা জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা রশীদ আহমেদ। এছাড়া মহান বিজয় দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, প্রীতি ভলিবল ও ফুটবল ম্যাচ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। দিবসটি উপলক্ষে জেলা কারাগার, হাসপাতাল, শিশুসদনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। এই দিনটিতে শহিদদের স্মরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক কর্মকা-ে অংশ নেওয়া উচিৎ। এ সময় নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম বলেন, বাংলাদেশের ৭জন বীরশ্রেষ্ঠ’র মধ্যে একজন বীরশ্রেষ্ঠ নড়াইলের সন্তান নূর মোহাম্মদ। অগণিত কৃতি সন্তানের পূণ্যভূমি নড়াইল জেলায় দায়িত্ব পালন করতে পেরে তিনি গর্বিত।