উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■
নড়াইলে সপ্তম শ্রেনীর এক মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ একই মাদরাসার প্রক্তন লম্পট শিক্ষার্থী মনিরুল কাজীর (১৬) বিরুদ্ধে। সে সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামের হাই কাজীর ছেলে। অসুস্থ ওই ছাত্রীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে এ বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও শহরের কিছু দালালরা। তারা বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে ওই অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুজনেক বিয়ে দিয়ে বিষয়টি মিমাংশা চেষ্টা করছে বলে জানাগেছে। তাদের আশ^াসে ওই ছাত্রীর পরিবার এখনও থানায় মামলা দায়ের করেনি বলে জানাগেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, নড়াইল সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামের ওই মাদরাসার ছাত্রী গত ১৬ই মার্চ সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে ছাগল নিয়ে মাঠে যাওয়ার সময় একই গ্রামের হাই কাজীর ছেলে মনিরুল কাজী ও একই গ্রামের লিমন তাকে জোরকরে একটি প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে গোপালগঞ্জ নিয়ে আরো ২জনের সহযোগিতায় মনিরুল কাজী ধর্ষন করে। পরে রাতে বাড়ির পাশের ফেলে রেখে চলে যায়। সকালে ওই ছাত্রীকে সদর হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা এঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন। মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যার জিল্লুর রহমান গণমাধ্যমকর্মী নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে, জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে এর সাথে আমি জড়িত নয়।(চেয়ারম্যান-০১৭৩৩-২৬৫৪৩০) অভিযুক্ত মনিরুল কাজীর বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করতে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সাথে কথা হয়েগেছে এখন কি কথা বলব। পরে ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।(ফোন নম্বর-০১৭৪০-৯৩১৭৫৫) সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডাঃ আ.ফ.ম. মশিউর রহমান বাবু গতকাল সোমবার দুপুরে বলেন, ওই মাদরাসার ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কর্রে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে, জানান গতকাল সোমবার দুপুরে বলেন, বিষয়টি জানার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য বলা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।