
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি ■
শৈশব বা কৈশরে নড়াইলের গ্রামের আর মফস্বলের ছেলেরা মার্বেল দিয়ে নানা রকম খেলা খেলেনি, নিকেদপক্ষে দেখেনি-এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া নিশ্চয় কঠিন। তবে চির পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে বদলায় সব। কেবল পোশাক, খাদ্য বা ব্যবহার্য জিনিসেই নয়, মানুষের রুচি বদলায় খেলাধুলাতেও। আর এই রুচি বদলের ঢেউয়ে কাটা পড়ছে মার্বেল খেলা। এখন আর গ্রামের পথে প্রান্তর বা খোলা জায়গায় দল বেঁধে কিশোরদের মার্বেল নিয়ে সেভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। অথচ বছর বিশেক আগেও দেখা গেছে এই চিত্র। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা যায়‘ মায়ের বকুনি আর বাপের লাঠি নিয়ে দৌঁড়ানো উপেক্ষা করে শিশু-কিশোররা খেলেছে এই খেলা। লুঙির কুজোয় গড়াগড়ি করতো মার্বেল। এ পাড়ার, ওপাড়ার ছেলেরা একসাথে মেতে ওঠতো খেলায়। হতো প্রতিযোগিতাও। যদিও মার্বেল খেলাকে তখন বাজে অভ্যাস বা নেশা কিংবা খারাপ হিসেবে মনে করা হতো, তারপরেও একতা শেখাতো খেলাটি, বৃদ্ধি করতো সম্পর্ক।এই খেলায় নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে। একেক এলাকায় একেকভাবে খেলা হয় মার্বেল। তাই সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম কানুন নেই। তবে যারা খেলে আর যারা দেখে, তাদের সবার মধ্যে আনন্দ কিন্তু একই রকম। তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের যুগে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লেগেছে গ্রামেও। মানুষের আর্থিক উন্নতি হচ্ছে, ঝোঁক বাড়ছে পড়াশোনা আর আয়বর্ধক কাজে। খেলার সময় যেমন থাকছে না শহরের ছেলেদের, তেমনি এখন গ্রামীণ পরিবেশেও খেলার জন্য একটু সময় করা ভীষণ অভাব ছেলেদের। স্মার্টফোন সহজলভ্য হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢু মেরেই সময়টা পার করতে পছন্দ করে কিশোররা। একা বা জোটবদ্ধ হয়ে সব আড্ডাতেই এখন এই এক বস্তু নিয়েই মাতামাতি। দেশ বিদেশের কোথায় কী ঘটছে, বিনোদন দুনিয়ার সবশেষ পরিস্থিতি কী, রাজনীতি, অর্থনীতির হাওয়া কোন দিকে- এসব নিয়েই কিশোররা কথা বলে, আড্ডা দেয়।