উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধ নিয়ে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.মাহামুদুল হাসান কায়েসের সমর্থক ও ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ বাড়িতে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। হামলায় শিশু ও মহিলাসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ইউনিয়নের মূলখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো.মাহামুদুল হাসান কায়েস গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই ইউনিয়নে বিবদমান দু’টি গ্রুপ বিদ্যমান। চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষ গ্রুপ স্থানীয় সাংসদ কবিরুল হক মুক্তির সমর্থিত। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক দিনে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে মূলখানা গ্রামের ইউপি সদস্য কায়েম শেখ ও আবেদ শেখের নেতৃত্বে শর্টগান ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রসহ শতাধিক লোকজন চেয়ারম্যান কায়েস গ্রুপের সমর্থক দক্ষিণ বিলাফর গ্রামের মান্নান শিকদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে মারাতœক জখম করে। এরপর অপরপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায় মূল খানা গ্রামের বাসিন্দা ও কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছবর ফকির, ফায়েক ফকির, লায়েক ফকির, উজ্জ্বল ফকির ও চাঁন ফকিরের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় ফায়েক ফকির ও তার স্ত্রী এবং কন্যা, লায়েক ফকিরের ছেলে চাঁন ফকির আহত হয়। আহতদের মধ্যে মান্নান শিকদারের অবস্থা গুরুত্বর বলে জানা যায়। এ প্রসঙ্গে কলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.মাহামুদুল হাসান কায়েস নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন,‘ইউপি সদস্য কায়েম শেখ ও আবেদ শেখের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী শর্টগানের গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে শিশু ও মহিলাসহ ৫ জনকে আহত ও ৫টি বাড়ি ভাংচুর করেছে।’একই প্রসঙ্গে নড়াগাতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বেলায়েত হোসেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন,‘ বিবদমান দু’গ্রুপের বেশ কয়েক দিনের উত্তেজনায় বৃহস্পতিবার সকালে কলাবাড়িয়া ইউনিয়নে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘেেটছে। তবে কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পরিবেশ শান্ত রয়েছে।’