
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি –
বাংলাদেশের মধ্যে পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবে নড়াইল অত্যন্ত পরিচিত।এমনি এই জেলাি গত কয়েক বছর পূর্বে ছিল মাদকের বাসা, সন্ত্রাসের আখড়া।মাদকের ভয়াল্গ্রাস,যাত্রা,হাউজি এর মত অপরাধ দিনে দুপুরে সংগঠিত হত। মাদকের আড্ডা জোরে শোরে চলছিল ঠিক তখনি জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে সরদার রকিবুল ইসলামের আগমন। যেসব এলাকায় ছিল মাদকের বাসা,এখন আর সেসব অঞ্চলে মাদকের কোন ছোয়া নেই বললেই চলে। আর তা একজন উদ্যমি ও পরিশ্রমি পুলিশ সুপারের পক্ষেই সম্ভব তা নিতান্তই সত্য। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা যায় নড়াইল জেলায় আসার পর অন্যান্য পুলিশ সুপারের চেয়ে তিনি ছিলেন একটু বেশি মিশুক। সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে তিনি মিশে গেছেন। জেলার আইনশৃংখলার জন্য তিনি ছিলেন খুবই উদ্বিগ্ন। তার এই উদ্যোগের ফলেই এই জেলায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদক বহুলাংশেই লোপ পেয়েছে। যা খুবই সহজ কাজ নয়। পুলিশ সুপার এতই সাদা মনের মানুষ ছিলেন যে, যেসব মানুষ একজন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যেতে ভয় পেতেন। তারা পর্যন্ত অনায়াসে এই মহান ব্যক্তির নিকট তাদের সমস্যার কথা বলতো এবং সমাধান পেতেন। তিনি শুধু জেলার সাধারণ মানুষের নয়, তার অধিনস্থ পুলিশদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, তাদের অন্যান্য সুবিধাদি নিশ্চিত করতেন।এইরকম হাজারও ঘটনা রয়েছে যা এই ছোট লেখায় বর্ণনা করা সম্ভব নয় তার গুন ও অবদানের কথা লিখতে হলে একটি বিশাল উপন্যাস হয়ে যাবে। তিনি বিভিন্ন ওপেন হাউজডে এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মানুষের সমস্যার কথা বলার জন্য নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারও দিয়েছেণ যা অত্যন্ত মহৎ কাজ। এদিকে কয়েকজন সাধারণ মানুষ বলেন, আমাদের এই জীবনে আমরা আইনি সহায়তার জন্য এই পুলিশ সুপারের মত আর ব্যক্তি পাইনি । তবে পুলিশের মধ্যে প্রায় সবাই তাদের অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, তাদের চাকুরী জীবনে এই ধরণের বড় মনের ব্যক্তি দেখেনি। যিনি নিজে পুলিশ সুপার হয়েও সাধারণ কনস্টেবল, দারোগাদের নিত্যদিনের সুখ দুঃখের খবরা খবর নিতেন। পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম শুধু তাঁর কর্মক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকেননি। মিশে গেছেন নড়াইল মাটি ও মানুষের সাথে। তিনি নিজ উদ্যোগে জেলা পুলিশ নামের ফেইসবুক পেইজ ও কমিউনিটি খুলে সেখানে সাধারন মানুষদের সাথে কমিনিকেট করতেন। কখনো ইসলামী জলসায়, আবার মন্দিরের কোন অনুষ্ঠানে, কোন বিদ্যালয় অথবা মাদ্রাসার অনুষ্ঠানে, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে ছিল সরব উপস্থিতি। ক্রীড়া অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি হিসেবে পেতে অনেকেই অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন করেছেন। আর জয়পুরহাটের সাংবাদিকদের অকৃতিম বন্ধু ছিলেন তিনি। যখনই প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রিক মিডিয়া অথবা প্রেসক্লাবের যেকোন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রন পেয়েছেন ছুটে গেছেন তিনি। একজন সফল মানুষ, সফল পুলিশ সুপার। পুলিশ ইচ্ছে করলেই সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সফলভাবে অংশ নিয়ে বদলে দিতে পারে সমাজের চিত্র। তার উজ্জল দৃষ্টান্ত মোল্যা নজরুল ইসলাম। সকল ক্ষেত্রে ছিল সমান অংশগ্রহন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার গঠনমূলক বক্তব্যে অভিভুত হয়ে যেত সবাই।আগামীর পুলিশ সদস্যদের অনুকরনীয় অনুসরনীয় তিনি। একান্তই সত্যি। কারণ এই রকম মহৎ মনের পুলিশ সুপার পুনরায় পাবো কিনা সেটি সন্দেহ। তবে তিনি যেখানেই হোকনা নড়াইলেন মানুষের হৃদয়ের মাঝখানে নিজকে অবস্থান করে নিয়েছেন তা কোন দিনই পরিবর্তন হবে না। দোয়া করি তিনি তার কর্মস্থলে চেয়েও বেশি নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারেন। এই প্রত্যাশায় তাহার সুস্বাস্থ্য কামণা করছি। আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি স্মরণকালের নড়াইেলর সেরা পুলিশ সুপার।