৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-




পরীক্ষায় শেষ করতে লেখা, কী করলে যাবে শেখা?

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আপডেট টাইম : জানুয়ারি ০৩ ২০১৮, ০৩:১৩ | 782 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

প্রত্যেক ছাত্রের জীবনে ‘পরীক্ষা’ শব্দটি যেন এক বিভীষিকার নাম! আমার স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রের ঘটনা দিয়ে শুরু করছি। ছাত্র হিসেবে সে অত্যন্ত মেধাবী, প্রচুর পরিশ্রমও করে বটে। তবে ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল দেয়ার পর দেখি বাংলা, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ধর্মশিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে খুব কম নম্বর এসেছে অন্যান্য বিষয়ের তুলনায়।

কারণ শুনতে চেয়ে জানতে পারলাম, শুধু সময়ের অভাবে সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তরও লিখে শেষ করতে পারে নি। “আরেকটু সময় যদি পেতাম, ইশ!”- এই আফসোস করে সে হতাশ হয়ে পড়েছে।

সাধারণত গণিত কিংবা ইংরেজি এর মত বিষয়গুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা গেলেও, বর্ণনামূলক বিষয়গুলো শেষ করতে হিমশিম খেতে হয় অনেককেই। ফলে অনেক ভালো প্রস্তুতি নেয়া সত্ত্বেও আশানুরূপ ফলাফল করতে পারি না আমরা, হতাশায় ভুগতে থাকি।

চলো আজ দেখে নেই, কিভাবে কিছু ছোট্ট টিপস অনুসরণ করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি আমরা!

১। প্রশ্ন ভালোভাবে পড়া এবং সাথে সাথে আন্ডারলাইন করা

প্রশ্ন হাতে পাওয়ার সাথে সাথে প্রথম পাঁচ মিনিট হাতে রাখতে হবে শুধু প্রশ্ন পড়ার জন্য। এই সময়টায় মোট ৩টি কাজ করতে হবে তোমাকে-

  • কয়টি প্রশ্নের মধ্যে কতগুলোর উত্তর করতে হবে তা মনোযোগ দিয়ে দেখা।
  • প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়া এবং পড়ার সময়ে প্রশ্নের ‘কি-ওয়ার্ড’ গুলো আন্ডারলাইন করা।
  • যেসব প্রশ্নের উত্তর করতে চাও, সেগুলো ঝটপট দাগিয়ে ফেলা।

৯ম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে আমার খুব কাছের এক বন্ধু পরীক্ষায় ৫টি প্রশ্নের উত্তর করে খাতা জমা দিয়ে দেয়। পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার পর সে খেয়াল করে প্রশ্নে ৫টি নয়, ৬টির উত্তর করতে বলা হয়েছে!

বুঝতেই পারছো তাহলে, পরীক্ষার প্রথম পাঁচ মিনিট মাথা ঠান্ডা রেখে প্রশ্ন পড়া জরুরি কেন? প্রশ্ন শুধু পড়লেই হবে না, এমনভাবে পড়তে হবে যাতে দ্বিতীয়বার একই প্রশ্ন পড়া না লাগে। এক্ষেত্রে সহজ বুদ্ধি হচ্ছে, প্রশ্নের মূল শব্দ গুলো নীলকালির কলম দিয়ে দাগিয়ে ফেলা।

ধরো প্রশ্নটি এমন, “বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতাগুলো কী কী বলে তুমি মনে করো-উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।” এই প্রশ্নে ‘শিল্পক্ষেত্র’, ‘উন্নয়ন’ এবং ‘প্রতিবন্ধকতা’- এই তিনটি শব্দের নিচে আন্ডারলাইন করবে, যাতে পুনরায় এই প্রশ্ন দেখার সাথে সাথে প্রশ্নে কী ছিল তা মনে পড়ে যায়।

এরপর সবচেয়ে ভালো পারো এবং উত্তর করতে চাও এমন প্রশ্নগুলো দাগিয়ে ফেল। এতে পরীক্ষা চলাকালীন বারবার প্রশ্ন পড়ে সময় নষ্ট হবেনা।

২। সময় ভাগ করে নেয়া

পরীক্ষার আগেই শিক্ষকের কাছে কয়টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে, কত সময় বরাদ্দ এসব জেনে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এই তথ্যগুলো জানার পর মোট সময়কে প্রশ্নের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করতে হবে।

ধরো, ৭টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর করতে মোট সময় বরাদ্দ ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট অর্থাৎ ১৫০মিনিট। তাহলে প্রত্যেক সৃজনশীলের জন্য বরাদ্দ থাকবে ২০ মিনিট করে, বাকি ১০ মিনিট ভাগ হয়ে যাবে পরীক্ষার শুরু এবং শেষের জন্য। প্রথম ৫ মিনিট প্রশ্ন পড়ার জন্য, শেষের ৫মিনিট উত্তরপত্র রিভিশন দেয়ার জন্য।

শুধু সময় ভাগ করে নিলেই চলবে না, কঠোরভাবে সময় অনুসরণ করে প্রত্যেকটি উত্তর লিখতে হবে।

৩। সবচেয়ে সহজ প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা

সাধারণত যে সকল প্রশ্ন আমরা ভালো পারি, সে সকল প্রশ্নের উত্তর করতে কম সময় প্রয়োজন হয়। তাই সবচেয়ে বেশি কমন পড়া প্রশ্নগুলো শুরুতে লিখে ফেলতে হবে। এতে শেষে কিছু অতিরিক্ত সময় হাতে পাওয়া যাবে যা কঠিন প্রশ্নগুলো ভেবে-চিন্তে লেখার কাজে ব্যবহার করা যাবে।

ঘরে বসে সময় ধরে দ্রুত হাতের লেখা অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই

খেয়াল রাখতে হবে, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর যাতে একই আকারের হয়। ভালো পারি বলে শুরুতে অনেক বড় করে উত্তর লিখে, শেষে সময়ের অভাবে ছোট আকারে উত্তর যাতে না লিখতে হয়। প্রয়োজনে, আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে কত নম্বরের জন্য কত পৃষ্ঠা উত্তর উপযুক্ত এবং সেই পরিমাণ অনুসরণ করেই প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে।

৪। ঘনঘন ঘড়ির দিকে না তাকানো

ঘনঘন সময় না দেখে চেষ্টা করতে হবে প্রত্যেক প্রশ্ন শেষ করে ঘড়ির দিকে তাকানো। যদি নিজের অজান্তেই বারবার চোখ ঘড়ির উপর আটকে যায় তবে হাতের ঘড়ি খুলে টেবিল এর উপর রেখে দিতে পারো। খেয়াল রাখতে হবে, সময়ের দিকে অতিরিক্ত নজর দিতে গিয়ে সময় যাতে নষ্ট করে না ফেলি!

৫। পরীক্ষা চলাকালীন বিরতি না নেয়া

পরীক্ষার মাঝে বোতলে পানি ভরা, টয়লেটে যাওয়া ইত্যাদি কাজে যাতে সময় নষ্ট না হয় এজন্য এসকল কাজ পরীক্ষা শুরুর আগেই শেষ করে নিতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র সাথে রাখতে হবে, যাতে কারো কাছে চেয়ে দুজনেরই সময়ের অপচয় না ঘটে।

৬। দ্রুত হাতের লেখা অনুশীলন করা

সবশেষে আলোচনা করছি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি-হাতের লেখা অনুশীলন করা। ঘরে বসে সময় ধরে দ্রুত হাতের লেখা অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই! এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাতের লেখা একই রকম থাকে।

দ্রুত লেখার পাশাপাশি সুন্দর করার জন্য দাগটানা খাতায় অনুশীলন করা যেতে পারে। প্রত্যেকদিন অন্তত আধা ঘন্টা সময় বরাদ্দ রাখতে হবে শুধু হাতের লেখা চর্চার জন্য। এক্ষেত্রে বেছে নিতে হবে এমন কলম যা দিয়ে লিখতে তুমি সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করো।

সংগ্রহঃ 10 Minute School

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET