গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বর্ষা মৌসুমে উপজেলার হোসেনপুর ইউপি’র শিশুদহে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্বিঘেœ কেটে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এলাকার ভূক্তভোগি মহল এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনসহ দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বাধাহীন নির্বিঘেœ গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার নি¤œাঞ্চল কিশোরগাড়ী ইউপির করতোয়া নদীর ঋষিঘাটসহ পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে চিহিৃত বালু খেকোরা স্যালো মেশিন দিয়ে দিন-রাত বালু উত্তোলন করে আসছে। মাঝে-মধ্যে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন অভিযান চালালে দুই-একদিন বন্ধ রেখে আবারো পূর্বের ন্যায় শুরু হয় বালু উত্তোলনের মহোৎসব।
চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রশাসনিক জরুরি হস্তক্ষেপ করার এখুনিই উপযুক্ত সময়। সক্রিয় বালু খেকোরা এলাকার সুবিধাবাদী কতিপয় রাজনৈতিক ঘেঁষা নেতাকর্মি, ইউপি সদস্য ও টাউট বাটপারদের মোটা অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় বাধাহীনভাবে বালু উত্তোলন করে চলেছে। এতে করে কোটি টাকার বিনিময়ে নির্মিত বাঁধ ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোতের তোড়ে বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে অত্রালাকা সমূহ প্লাবিত হয়ে বিপদ আশঙ্কার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউপির করতোয়ার ঋষিঘাট পয়েন্ট ছাড়াও হোসেনপুর ইউনিয়নের শিশুদহ নামক স্থানের মর্চনদী থেকে উত্তোলিত বালু পাহাড়সম ঢিবি করে রাখা হয়েছে। সেখানে বিশাল অর্থের বিনিময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে বালু উত্তোলন এবং সরবরাহ করছেন।
সরেজমিন এলাকাবাসী জানান, শ্রীখন্ডি গ্রামের সোহেল মিয়া ও কলাগাছী গ্রামের আলম মিয়া বাঁধ কেটে রাস্তা বের করেছেন। চলাচলের রাস্তা ক্ষতবিক্ষত করে কাঁকরা (ট্রাক্টর) দিয়ে এসব বালু বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মাহবুবুল আলমের সাথে মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে কথা হলে বাঁধ কেটে যারা বালু উত্তোলন করছেন তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে; উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের সাকোয়া ব্রীজ নামক স্থানে ব্রীজের উভয়পার্শ্বে বালু খেকো মোজা মিয়াসহ তার ছেলেরা দীর্ঘদিন থেকে রাত দিন বালু উত্তোলন করে আসছেন। বিষয়টি অত্র ইউপি চেয়ারম্যান ও দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিসহ সবার নজরে আসলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেউই তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। সাকোয়া ব্রীজে প্রতি রাতেই নৈশকালীন পুলিশ টহল রতসহ প্রহরায় নিয়োজিত থাকে।তদুপরি সেখানে রীতিমত প্রকাশ্যে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে।
নির্বিঘেœ বালু উত্তোলন এবং চিহিৃত পয়েন্ট গুলোর বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান নয়নের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান।