
প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের প্রায় প্রতিদিনই কোনো কোনো নানামুখী মহাব্যস্ততার সুযোগে বালুখেকোরা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এসব সুবিধাবাদী বালুখেকোরা প্রশাসনের ওপর না খেপলেও গণমাধ্যমের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় উপর্যুপরি লেখালেখির কারণে সাংবাদিকদের ওপর বেজায় চটেছেন। চলমান সার্বিক পরিস্থিতির ঘুর্নায়মান প্রেক্ষাপটের আবর্তে বালুচক্রের এখন পোয়াবারো সময় অতিবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীসহ এ অঞ্চল ঘিঁরে চিহিৃত পয়েন্ট সমূহ থেকে বালু উত্তোলনের ধারাবাহিকতা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় রমরমা অবস্থায় চলছে। দেশে করোনা মহামারীর সুযোগে বালুখেকোদের কালোথাবার দৌরাত্ম দিন দিন অপ্রতিরোধ্য বেড়েই চলেছে।
ফলে অত্রাঞ্চলের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও সরকারি-বেসরকারি মূল্যবান স্থাপনা গুলোর ভূগর্ভস্থ তলদেশ শূন্যতার সৃষ্টি হওয়ায় এসব মারাত্মক হুমকীর সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অবনতি ঘটায় সার্বিক জীব ও বৈশিষ্ট্য বড়ই বিপন্ন হয়ে উঠছে। সমসাময়িক ঘটছে প্রাকৃতিক নানা বিপর্যয়। চক্রটি সংঘবদ্ধ হওয়ায় সাধারণ ভূক্তভোগি এলাকাবাসি এদের বিরুদ্ধে সাধারণত কখনো কিছু বলার সাহস করেনা।
পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর, মনোহরপুর, পবনাপুর, বেতকাপা ইউপি’র বেশ কয়েকটি চিহিৃত পয়েন্ট, হোসেনপুর ও কিশোরগাড়ী ইউপি’র অসংখ্য পয়েন্ট ছাড়াও গোটা পলাশবাড়ীর নি¤œাঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত বালুখেকোদের কালো থাবার মরণ সোঁবল। বালুখেকোদের এমন দুরভিসন্ধি মূলক অপতৎপরতায় এ অঞ্চলের স্কুল-কলেজ, ঘরবাড়ি, সরকারী অর্থ ব্যয়ে নির্মিত উঁচু বাঁধ সমূহ মারাত্মক হুমকীর কবলে পড়েছে। বাঁধ কেটে সাবাড়ের পাশাপাশি বালু উত্তোলনের বিষয়টি যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বালু পরিবহন কাজে নিয়োজিত অসংখ্য কাঁকরা ও ট্রাক্টর যাতায়াতের জন্য বাঁধ কেটে রাস্তা বের করেছে বালু দস্যূরা। বাঁধ কাটার ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকার ভূক্তভোগি মহলের ঘরবাড়ি-ভিটেমাটি বন্যার পানির তোড়ে ভেসে যাবার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
নি¤œাঞ্চলের এসব ভূক্তভোগি বসতিদের সামনে এখন দেখার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে বন্যা কিংবা ভূমিধ্বস তাদের কতটা আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ফেলে। সময় থাকতে সাবধানতা অবলম্বন ব্যর্থতার দায়ভার এলাকাবাসিকে বড়ই ভাবিয়ে তুলেছে। ভূগর্ভস্থ থেকে লাগাতার বালু উত্তোলন করায় এলাকার নদী-নালা, খাল-বিল, ডোবা ও জলাশয় ঘেঁষা বাড়িঘর, স্কুল-কলেজ, রাস্তা-ঘাট ও বাঁধ শূন্যতায় পড়েছে। সম্ভাব্য অপেক্ষমান কোন দূর্ঘটনার আশঙ্কায় ভূক্তভোগি মহল শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসি সময় থাকতে বালুখেকোদের প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সম্মিলিত প্রশাসনিক জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।