টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেও লাভ হয়নি, উল্টো ক্রিকেট বোর্ডের বিষেদাগারে মেতে ঝামেলা বাড়িয়েছেন ড্যারেন স্যামি। এমনই পরিস্থিতি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আর খেলতে পারবেন কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন নিজেই।
সত্যিই যদি তা ঘটে, তবুও সমস্যা নেই, পাকিস্তান আছে না! গুঞ্জন উঠেছে, পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পেতেও পারেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক।
খবরটি দিচ্ছে পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। তাদের বরাতেই খবরটি ছড়িয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে। হঠাৎই গুঞ্জন, পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পাচ্ছেন স্যামি। গুঞ্জনের পালে হাওয়া দিল ড্যারেন স্যামির দুটি টুইট।
পরশু হঠাৎ তার টুইট, ‘আমি কিন্তু জাভেদ আফ্রিদির কাছ থেকে পশতু শিখেছি। খুবই মিষ্টি একটি ভাষা। এখন তো আমি প্রায় পাখতুন জালমি।’ এরপরই পশতু ভাষায় দুটি বাক্য লিখেছেন।
একটু পরেই আরেকটি টুইট, এটিতে আর ইংরেজির মিশেল নেই। পুরোটাই পশতু ভাষায় লেখা। তবে টুইটটি একটু পরেই মুছে ফেলেন।
এই পশতু ভাষার সুবাদেই এখন পাকিস্তানের নাগরিকত্বের প্রসঙ্গ এসেছে। পাকিস্তান সুপার লিগে পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলেছেন স্যামি। তখনই জালমির মালিক জাভেদ আফ্রিদির কাছ থেকে পশতু ভাষায় হাতেখড়ি।
এই জাভেদই এখন জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন স্যামিকে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার। কে জানে হয়তো আগামী পিএসএলে স্যামিকে স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে খেলানোই তার উদ্দেশ্য!
মাঝখান দিয়ে অন্য এক দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাচ্ছেন সেন্ট লুসিয়ান এই ক্রিকেটার। পিএসএল খেলে তো দারুণ লাভ হলো স্যামির!
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেবেন বলে একটি টুইটও ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে পাখতুনখাওয়ার তথ্যমন্ত্রী মুশতাক গনি জানিয়েছেন, ওই টুইটার অ্যাকাউন্টটি ভুয়া। কোনো রাজ্য বিদেশি কাউকে নাগরিকত্ব দিতে পারে না। নাগরিকত্ব দেওয়া বা বাতিল করার ক্ষমতা শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের।