ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পাঞ্জাব সীমান্তে আটটি লেজার প্রাচীর বসিয়েছে নয়াদিল্লি। দিন কয়েকের মধ্যে সেখানে এ ধরনের আরো চারটি প্রাচীর বসানোর কথা রয়েছে।
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তথা বিএসএফের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসীরা যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য এক ডজন লেজার প্রাচীর বা দেয়াল তৈরি করা হয়েছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে পাঞ্জাবের স্পর্শকাতর এলাকায় ৮ টি অনুপ্রবেশ শনাক্তকরণ সিস্টেম বসানো হয়েছে এবং সেগুলো কাজ করতেও শুরু করেছে। আরও চারটি স্থানে খুব শিঘ্রই এ ধরণের লেজার দেয়াল বসানো হবে। জম্মু-কাশ্মির, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট সীমান্তে বিএসএফ লেজার দেওয়ালের মাধ্যমে নজরদারি চালাবে।
বিএসএফ কর্মকর্তাদের মতে, লেজার দেয়ালের আশেপাশে কোনো গতিবিধি দেখলেই লেজার সিস্টেমে সঙ্গে সঙ্গে তা ধরা পড়বে। কেউ এই দেয়াল পেরোনোর চেষ্টা করলেই উচ্চস্বরে বেজে উঠবে সাইরেন। স্যালেলাইট তথা উপগ্রহভিত্তিক সিগন্যাল কমান্ড সিস্টেমের মাধ্যমে গোটা বিষয়টিতে নজরদারি চালানো হবে।
নদী ও অন্যান্য ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতার কারণে পাক-ভারত সীমান্তের বেশ কয়েকটি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। সেসব স্পর্শকাতর এলাকায় লেজার সিস্টেম বসানো হচ্ছে। পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রায় ৪৫টি লেজার দেয়াল বসানো হবে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পরিকল্পনায় জম্মু ও গুজরাটে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত এবং পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে এ রকম চারটি পাইলট প্রকল্প শুরু করা হবে। আগামী মাস থেকে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
দুই বছর আগেই লেজার দেয়াল বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএসএফ। পাঠানকোটে সন্ত্রাসী হামলার পরে এই পরিকল্পনায় গতি আসে। অবশেষে এবার তা কার্যকরী করা হল। এর আগে ইসরাইলসহ কয়েকটি দেশে সীমান্ত নিরাপত্তায় এ ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।