
বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামে শ্বাশুরীর হাতে গৃহবধু লায়লা আক্তার পপি নির্যাতন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে নির্যাতিত গৃহবধু লায়লা আক্তার পপি বাদী হয়ে স্বামী ও শ্বাশুরী দুইজনের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে, থানার মামলা নং ০২ । স্থানীয়রা জানান, মানিকখালী গ্রামের আ: খালেকের পুএ আবদুল্লাহ আল নোমান এর সাথে একই গ্রামের মো: মহিউদ্দিন পান্না মিয়ার কন্যা মোসা: লায়লা আক্তার পপির সাথে গত ২৬মে ২০১৬ইং ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক (৩ তিন লক্ষ) টাকা কাবিন মুলে বিবাহ হয়। তাদের ঔরষে দুইটি পুএ সন্তান জন্ম হয়। নাম আলিব(২) আকিব(৫ মাস) । গৃহবধুর শ্বাশুরী রেনু বেগম স্বামী ও ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে। নিজে অশ্লীলতায় নেমে পরে ও বিভিন্ন জায়গায় অনৈতিক কার্য্যকলাপে লিপ্ত হয় । নিজের স্বামী ও ছেলেকে শুন্য কোটায় রেখে দুইজনার বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা দিয়ে অর্থের পাহার করেন রেনু। ছেলে বিদেশ থেকে আসার পরে পুএবধু পপিকে তালাক দেয়ার পরামর্শ দেয় । এরপর থেকে পপির উপর নেমে আসে অমানসিক নির্যাতন। মায়ের কু-পরামর্শে নোমান পরকীয়া প্রেমের সন্ধানে নেমে পরে। কিছুদিন পর দুই সন্তানের জননী মোসাঃ মারজানা স্বামীর বাড়ীতে যাওয়ার পথে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎ পাতিয়া থাকিয়া একই উপজেলার তালুকের চরদয়ানী গ্রামের মাওলানা আ: মালেক এর কন্যা মোসা: মারজানা (২৮) স্বামী মাসুদুল আলম এর স্ত্রীকে মটর সাইকেলে উঠিয়ে অপহরন করে নিয়ে যায়। এব্যাপারে পাথরঘাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আ: মালেক বাদী হয়ে পাচঁ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। যাহার মামলা নং ১২। গৃহবধু লায়লা আক্তার পপি সাংবাদিকদের বলেন, বাবা ৮লক্ষ টাকার মূল্যে স্বর্নালংকার , খাট , সোকেজসহ অন্যান্য মালামাল উপহার সামগ্রী দিয়া বিবাহ দেয়। স্বামী বিবাহর কিছুদিন পর সৌদি আরব যায়। বিদেশ থেকে বাড়ীতে আসিয়া আমার শ্বাশুরীর কু-পরামর্শে ঢাকায় ব্যবসা করবে বলিয়া বাবার বাড়ী থেকে ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা দাবী করে। আমি তার কথায় রাজি না হলে আমাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে। বর্তমানে আমি স্বামীর বাড়িতে মানবিক জীবনযাপন করছি। এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, এ বিষয় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।