১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • সকল সংবাদ
  • পার্বত্য শান্তি চুক্তির মন্ত্রী ও বরিশাল-১ আসনের এমপি জননেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন




পার্বত্য শান্তি চুক্তির মন্ত্রী ও বরিশাল-১ আসনের এমপি জননেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

মোহাম্মদ ইমন মিয়া, বাঙ্গরা,কুমিল্লা করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : ডিসেম্বর ০২ ২০১৮, ১৭:৪৪ | 767 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

খোকন হাওলাদার, গৌরনদী(বরিশাল) প্রতিনিধিঃ

আজ ঐতিহাসিক ২রা ডিসেম্বর, পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২১ বছর পূর্তি। দীর্ঘদিন চলমান রক্তপাত ও সংঘাত নিরসন এবং পাহাড়ে ঐক্য, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে ১৯৯৭ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কোনো প্রকার তৃতীয় মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় চুক্তিটি, যা সারাবিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

এই বিরল কৃতিত্ব অর্জনের জন্য, শান্তি চুক্তির দিক নির্দেশক ‘বঙ্গবন্ধু’ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শান্তি চুক্তির প্রনেতা, জীবন্ত কিংবদন্তী জননেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ কে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সদ্য স্বাধীন দেশকে ধংশস্তুপ থেকে টেনে তুলে উন্নয়নের যে মহাযোগ্য জাতির পিতা শুরু করেছিলেন, সম্পদের স্বল্পতা, অবকাঠামো ও ভৌগলিক করনে সদ্য স্বাধীন দেশের তিন পার্বত্য জেলায় ( রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন) উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছাতে যৌক্তিক কারনে কিছু বিলম্ব হয়।
এই সুযোগে পাকিস্তানী প্রেতাত্মার মদত পুষ্ঠ ৭৫ পরবর্তী সরকার, দেশী-বিদেশী অপশক্তি ও স্বার্থোন্যাসী মহল তিন পার্বত্য জেলার নাগরিকদের মধ্যে বিবেধ সৃষ্টি করে যার একাংশের নাম দেয় বাঙ্গালী এবং অপর অংশের নাম দেয় পাহাড়ী।এক কথায় ভাইয়ে-ভাইয়ে বিবাদ। এই বিবাদের ফলে রক্তাক্ত সংঘর্ষ, রাষ্ট্রের বিপক্ষে সশশ্ত্র সংগ্রাম এমনকি সার্বভৌমের উপরে হুমকি পর্যন্ত গড়ায়।

৭৫ পরবর্তী সকল সরকার এই বিবাদকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। ১৯৭৭ সালে সামরিক শাসনামলে সামরিক বাহিনীর সাথে শান্তি বাহিনী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। তৎকালীন সরকার দেশের চেয়ে দল বা ব্যক্তির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যার ফলে এই বিবাদ মিটাতে ব্যার্থ হয়। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্ব পর্যন্ত সুদীর্ঘ ২২ বছর এ সংঘাত চলমান ছিল।

দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে জনগনের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সনের ২৩ জুন জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। বঙ্গবন্ধু মানেই তো বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর রক্ত বা তাঁহার দল তো আর দেশের থেকে দল বা ব্যক্তি স্বার্থকে আগে ভাবতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশ ও জাতির প্রয়োজনে রাষ্ট্রদ্রোহী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিরস্ত্র করে শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাহাড়বাসীর উন্নয়নের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেন।

দেশের এত বড় স্বার্থ রক্ষা করতে হলে জননেত্রীর এমন একজন ব্যক্তির প্রয়োজন যে জননেত্রীর মত সর্ব স্বার্থের উর্ধ্বে দেশকে নিয়ে ভাবতে পারে।যে ব্যক্তি যেকোন সময় দেশের জন্য জীবন বাজী রাখতে প্রস্তুত। সর্বোপরি দেশী-বিদেশী যেকোন প্রস্তাবে ব্যক্তি স্বার্থকে দেশের চেয়ে বড় মনে না করে।

নেত্রীর এরুপ আস্হাভাজন তাঁর বড় ভাই, যার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত বহমান, কৃষক কুলের নয়নের মনী, বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর,সাবেক মন্ত্রী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত-এর পুত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা, ততকালীন মহান জাতীয় সংসদের চীপ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ কে দায়িত্ব দেন।

দায়িত্ব গ্রহনের পরে আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সশশ্ত্র গোষ্টীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। বহু প্রতিকুলতার পর জননেত্রীর দিক নির্দেশনায় স্বল্পতম সময়ে সশশ্ত্র সংগ্রামকে অশ্ত্র সমর্পণ এর মাধ্যমে সমাধান করে। দীর্ঘদিন চলমান রক্তপাত ও সংঘাত নিরসন এবং পাহাড়ে ঐক্য, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কোনো প্রকার তৃতীয় মধ্যস্থতা ছাড়াই এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করে।

চুক্তির স্বাক্ষরের ধারাবাহিকতায় ১৯৯৮ সালের ১০ ফ্রেরুয়ারি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে জনসংহতি সমিতির সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গিকার করেন। ১৯৯৯ সালে জনসংহতি সমিতির ষষ্ঠ মহাসম্মেলনে শান্তিবাহিনীর আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এই চুক্তি শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সারাবিশ্বে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। এই চুক্তিকে দৃষ্টান্ত ধরে পৃথিবীর বহু দেশ শান্তি স্হাপনের পথে অগ্রগামী হচ্ছে।

শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কার্যক্রমকে গতিশীল করতে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন প্রাক্রিয়া পরিবীক্ষন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় আলহাজ্জ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপিকে। প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় পদাধিকার বলে এ কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, পার্বত্য জনসংহতি সমিতির চেয়ারম্যান জ্যোতিন্দ্র বোধীপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
আজ পার্বত্য জেলাসমূহ কোনো পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের জনগণ সম-অংশীদার। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।

জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্বি অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের এই ধারাকে সুসম্মত রাখতে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং ও সাফল্য অর্জনকে ধরে রাখতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে হবে এবং নৈরাজ্য ও জঙ্গীবাদী সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করতে হবে।
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে এবং নৈরাজ্য ও জঙ্গীবাদী সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করতে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।

পার্বত্য শান্তি চুক্তি দিবস উপলক্ষে মহান নেতা পার্বত্য শান্তি চুক্তির রুপকার জননেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ কে ফুলের শুভেচ্ছা জানান গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জনাব হারিছুর রহমান,উপজেলা আ’লীগে সভাপতি এইচ.এম জয়নাল আবেদীন,ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুন্সী,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভূইয়া, বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাতসহ প্রমুখ।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET