মোঃ জহির রায়হান-সিরাজগঞ্জঃ
ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে যমুনার নদীপথ ঠিক করে, শহর রক্ষা বাধের সম্প্রসারন এবং কয়েকটি ক্রসবার নির্মান করায় স্বস্তির সাথে গড়ে উঠছে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রকল্প। আর এই প্রকল্প গুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন পাল্টে দিচ্ছে নদী ভাংগনের স্বীকার সিরাজগঞ্জের চিরচেনা রুপ।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে প্রধানমত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনার ভিত্তিতে অধাপক ডাঃ হাবীবে মিল্লাত মুন্নার নেতৃত্বে যমুনা নদীর ভাংগন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে গত কয়েক বছরে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে অসংখ্য পরিমানে বহুতল ভবন নির্মান হয়েছে যা অনেকটাই জ্যামিতিক হারে। শেখ রাসেল শিশু পার্ক নির্মিত হওয়ার পর এটা হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জ শহরের মানুষের বিনোদনের প্রান কেন্দ্র। শহরের নোংরা পুকুরকে ঢেলে সাজিয়ে করা হয়েছে পদ্মপুকুর।
শিয়ালকোলে শহীদ এম ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর মেডিকেল কলেজের কাজ প্রায় ৫০% শেষ। শুরু হয়েছে মুলিবারী হয়ে চান্দালী মোড় দিয়ে নলকা পর্যন্ত চারলেনের রাস্তার কাজ , যা দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাই দিনরাত পরিশ্রম করছেন।
সিরাজগঞ্জ শহর হয়ে বগুড়া পর্যন্ত রেললাইন নির্মানের জন্য জমি অধিগ্রহনের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর স্থায়ী ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে যা সিরাজগঞ্জ জেলাকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে জনসাধারনের বিশ্বাস।
শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পয়ঃ নিষ্কাশনের সুবিধার জন্য কাটাখালি খালকে হাতিরঝিলের মত সুন্দর করার কাজ প্রায় ২০% শেষ হয়েছে।
ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বন্ধ কওমী জুট মিল জাতীয় জুট মিল নামে চালু করা হলেও , শিল্প পার্ক নির্মান এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজে ধীর গতি হওয়ায় জনসাধারণ অনেকটাই হতাশায় ভুগছে। সবাই চায়- প্রকল্প গুলো দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন এবং সর্মৃদ্ধ সিরাজগঞ্জ।