গীতি গমন চন্দ্র রায় পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি॥
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ১০ নং জাবর হাট ইউপি জাবর হাট এলাকায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার রোগীরা সঠিক সময়ে নির্ধারিত ঔষধ পাচ্ছে না বলে জানা যায়। খোজ খবর নিয়ে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় গত ২৯-১০-২০১৭ ইং তারিখে জাবর হাট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের ফার্মাসিষ্ট পাঁচ দিনের ছুটির কথা বলে দেশের বাইরে যান। ওই ফার্মাসিষ্টের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে আমি বাসায় এসে অসুস্থ রয়েছি বিধায় সেখানে গিয়ে অফিস করতে পারছি না। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারের সাথে সাক্ষাত হলে তিনি জানান তিনি অসুস্থ রয়েছেন। তার পরিবর্তে সবুজ নামে একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে রোগীদের ঔষধ দেন। কিন্তু ১০ নং জাবর হাট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গেলে ৩ দিনে ও ফার্মাসিষ্ট সবুজ হোসেনের সাথে সাক্ষাত হয়নি। ১৮/১২/২০১৭ প্রথম দিন খোজ নিতে গেলে সেখানে গিয়ে তার সাক্ষাত পাওয়া যায় নি। মোবাইল ফোনে কথা হলে সবুজ হোসেন বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদে মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি ১০ মিনিট পর আপনাদের সাথে সাক্ষাত করছি এভাবে পর্যায়ক্রমে ১০ মিনিট হলে তাকে আবার ফোন দিলে তিনি বলেন যে ৩০ মিনিট পরে যাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সাংবাদিক কে সঠিক তথ্য না দেওয়ার জন্যে ফোন বন্ধ করে রাখেন। পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ফোনে জানালে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখতেছি এবং নিয়োগ প্রাপ্ত ফার্মাসিষ্ট মকুল হোসেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন তিনি আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন আমি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। এবং ঐ কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার তাকে ৩ দিন অনুপস্থিত পাওয়া যায়। এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায় তিনি নিয়মিত কেন্দ্রে আসেন না। তিনি প্রায় ব্যক্তি গত ইনকামের জন্যে ডেলিভারি রোগী নিয়ে ব্যক্তিগত ইনকামে ব্যস্ত থাকেন। এ বিষয়ে গত ১৮/১২/২০১৭ রেজিনা আক্তারকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসা বাদ করিলে আমি অসুস্থ রহিয়াছি । আবার গত ২৪/১২/২০১৭ ইং তারিখে ঐ ১০ নং জাবর হাট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ১০ ঘটিকায় গিয়ে ১ টা পর্যন্ত তার সাক্ষাতের অপেক্ষা করলে তিনি অফিসে আসেন নাই। মোবাইল ফোনে কথা হলে বলেন আমি আমার শিশুকে নিয়ে আল-হাসনাহ স্কুলে আসা যাওয়া করার জন্য যেতে পারি নাই। গত ০১/০১/২০১৮ ইং ১০ নং জাবর হাট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে সকাল ১০ ঘটিকায় খোজ নিলে দেখা যায় তিনি অফিসে আসেন নাই। এবং অফিস সহায়ক শান্তি রাম রায়কে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন আমিও আমার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করিতে পারি নাই। কারণ ফার্মাসিষ্ট মুকুল হোসেন দীর্ঘদিন কয়েক মাস অনুপস্থিত থাকার কারণে এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার হাজিরা খাতা তার নিজস্ব ডয়ারে তালা মেরে রাখেন। এ বিষয়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার রেজিনা আক্তার এর কাছে হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে টি এইচ ওর নির্দেশ ফার্মাসিষ্ট মুকুল না আসা পর্যন্ত কোন সাংবাদিককে হাজিরা খাতা দেখানো যাবে না। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জেনের প্রধান সহাকারি অফিসার মো: নজরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমরা এখনো জানি নাই। অপর দিকে ১০ নং জাবর হাট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পাশের ১১, ০৮ ও ০৯ ইউনিয়নের রোগীরা চিকিৎসা ও ঔষধ পত্র হতে বঞ্চিত হয়েছেন। এ বিষয়ে ১০ নং জাবর হাট ইউপি চেয়ারম্যান কে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন নিয়মিত উপসহকারী কমিউনিটি অফিসার মোছা: রেজিনা আক্তার নিয়মিত অফিসে আসেন না। আমি তাকে অনেকবার নিয়মিত আসার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু রেজিনা আক্তার বিষয়টি মোটেই কর্ণপাত করেন না। এ বিষয়ে ঐ এলাকার সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।