রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বেড়ে চলেছে রমরমা মাদক ব্যবসা। সেইসাথে প্রকাশ্যে জমে উঠেছে জুয়া। অলিতে গলিতে এখন পাওয়া যায় মাদক। আর মাদক ব্যবসা থেকে বাদ পড়েনি নারী-পুরুষ কেউই। পাশাপাশি অর্থ লোভে কিশোর যুবকরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
মাদকের পাশাপাশি চলছে জমজমা জুয়া আসর। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার পাড়া-মহল্লায় অনেকটা খোলামেলা ভাবেই চলছে মাদক বেচাকেনা ও জুয়া আসর। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা
নিরব থাকায় এখন উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামেই মাদকের বড় বড় আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
উপজেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ঠ থানা পুলিশের তথ্যমতে জানা গেছে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশী কেনা-বেচা হচ্ছে গাঁজা, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হেরোইন, আইস্ ও ট্যাপেন্ডটল ট্যাবলেট।
সরোজমিনে এলাকা ঘুরে জানা যায়, মাদক বেচাকেনাসহ ও জুয়ার আসর চলে উপজেলার সরিষাবাড়ী, পান্নাপাড়া, গাঁওপাড়া ঢালান, জিউপাড়া, ঝলমলিয়া, কানাইপাড়া, পীরগাছা বাজার, বারইপাড়া, কৃষ্ণপুর মেডিকেল পাড়া ও আদিবাসী পল্লী, ধোপাপাড়া, ফুলবাড়ী, ভাল্লুকগাছি, বানেশ্বর ও বিড়ালদহ মাজার এলাকায় অনেকটা প্রকাশ্যে চলে জুয়া ও মাদকের ব্যবসা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার বিভিন্ন এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিবাদ করতে গেলে মামলা দেওয়ার ভয় দেখায়। বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকিও দেয়। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাদক ব্যবসা ও জুয়া পরিচালনা করছে।এ বিষয় অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হবে না। আশেপাশের প্রায় সব গ্রামে মাদক বিক্রি হয়। আমাদের ছেলেদের নিয়ে আমরাও খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।
এদিকে বিভিন্ন সময় দেখি র্যাবের অভিযানে পুঠিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক ব্যবসায়ীসহ নানা রকম মাদকদ্রব্য ধরা পড়ে। কিন্তু পুলিশের অভিযানে কোন বড় ধরণের মাদক ব্যবসায়ী আটক হয় না।
উপজেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা রাজশাহী জেলার ৫ টি থানা নিয়ে কাজ করি। আমাদের জনবল মাত্র ৬ জন। এই পরিমাণে জনবল নিয়ে পাঁচটি থানায় প্রতিনিয়তই অভিযান চলমান রয়েছে।
মাদক মুক্ত পরিবেশ গড়ার জন্য পিতা-মাতার ভূমিকা অসীম সেই জন্য আমাদের পাশাপাশি পিতা-মাতা যদি তাদের সর্বক্ষণিক সন্তান খোঁজ খবর রাখে তাহলে সম্ভব মাদকমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা।
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানান, জুয়া ও মাদক বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জুয়া ও মাদকের ব্যাপারে আমরা সোচ্চার।