আজিম উল্যাহ হানিফ-
কবি, সৃজনশীল লেখক, আবৃত্তিশিল্পী ও চিত্রশিল্পী প্রতিমা দাশ। মূলত সাহিত্যের বিচারে তিনি একজন কবি। নেশায় মানবিক মানুষ ও সাংসারিক। পেশাগত জীবনে তিনি বাচিকশিল্পীও ব্যবসায়ী। তিনি ২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দেশবরেণ্য গুণিজনদের মাধ্যমে গুণিজন সম্মাননা (কবিতায়) পেয়েছেন। প্রতিমা দাশের লেখালেখি শুরুটা হাইস্কুলে পড়াশুনা করার সময় থেকে। তারপর কলেজের ম্যাগাজিনে নিজের মতো করে কবিতা লেখা কিংবা বাবার পুরনো ডাইরীতে গল্প লেখা। এভাবেই শুরুর কাল। বিগত এক দশক পূর্ব থেকে চট্টগ্রামের বহুল প্রচারিত আজাদী পত্রিকায় প্রবন্ধ, প্রতিবেদন, কবিতা দিয়ে নিয়মিত লেখা শুরু, এছাড়াও ভোরের কাগজ, সমতটের কাগজ, পূর্বকোণ, সমধারা ম্যাগাজিনে নিয়মিত কবিতা প্রকাশিত হয়। তার পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রামের অন্তরা হাওয়াইন গীটার শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য। নিয়মিত মঞ্চে গীটার বাজায় এবং চট্টগ্রাম টেলিভিশন অন্যান্য অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন নিয়মিত। এছাড়াও তার একটা নিজস্ব হ্যান্ড পেইন্টিং এর ব্যবসা আছে। তিনি মানবতার সেবায় দরিদ্রদের জন্য একটা মানবিক সংগঠন “নিকেতনের” কর্ণধার। বেশ আগে সমধারা পত্রিকা আয়োজিত ১০ জন কবির মধ্যে চট্টগ্রামের কবি হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন।
দ্রোহ, প্রেম, মানবতা অসাম্প্রদায়িকতা প্রকৃতিকে কবিতায় তুলে আনতে পছন্দ করে কবি প্রতিমা দাশ। সব সময় একটা অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্ন দেখেন তিনি।
বাবা অধ্যাপক সুনীল চন্দ্র দে মাতা রুপশ্রী দে গৃহিণী । দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। চাটখিল বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে এইচ এস সি এবং স্নাতক। স্বামী চট্টগ্রাম কর্পোরেট কোম্পানিতে আইটি অফিসার হিসেবে কর্মরত। দুই সন্তানের জননী তিনি। চট্টগ্রামের” প্রমা আবৃত্তি “সংগঠনের সাথেও রয়েছেন যুক্ত।
বাংলাদেশ একাডেমির পুরস্কার প্রাপ্ত কবি সাংবাদিক প্রাবন্ধিক রাশেদ রউফ’র উৎসাহে লেখালেখির চর্চাকে অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করে গেছি। এছাড়াও চট্টগ্রামের ছড়াকার কবি অরুন শীল এবং ছড়াকার অপু চৌধুরীর সহযোগিতায় ছড়া লেখালেখির চেষ্টা।
লেখক প্রতিমা দাশের ২০২৫ সালের অমর একুশে বইমেলায় আসছে একক কাব্যগ্রন্থ। কবির জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
Please follow and like us: