
এসএম শহীদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা থেকেঃ- দেশের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে প্রত্যেকটি শিশুকে একেকজন প্রোগ্রামার হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, আগামি দুই এক বছরের মধ্যে প্রথম শ্রেণি থেকে তথ্য ও প্রযুক্তি বাধ্যতামূলক করা হবে। শিশু প্রোগ্রামারদের দিয়ে একদিন গণভবন ভরিয়ে তোলা হবে। শিক্ষকরা পুরো বাংলাদেশকে বদলে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। শুধু দরকার আন্তরিকতা। পৃথিবীতে বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশ হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে সারা দেশের মধ্যে নির্বাচিত ৩৬০জন শিক্ষকের জাতীয় স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা উপলক্ষে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন,২০০৯ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো ৪কোটি ৪৬লক্ষ মানুষ। বর্তমানে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫কোটিতে। ২০০৯ সালে ইন্টারনেট ব্যবহার করতো মাত্র সাড়ে ৮ লক্ষ মানুন। এখন সে সংখ্যা ৮কোটি। ১৯৬৪ সালে এ দেশে কম্পিউটার আসে। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি। মাত্র ১৪ বছর আগে থেকে এদেশের মানুষ কম্পিউটারের ব্যবহার শিখেছে। আমাদের দেশে যারা কম্পিউটার পরিচালনা করতে পারে তাদের শতকরা ৮০ ভাগ প্রোগ্রামিং করতে জানে না। তাই সরকার শিশুদের শিক্ষার শুরু থেকে কম্পিউটারের ভয় দূর করতে তাদের প্রোগ্রার বানাতে চায়। ১৯৯৭ সালে আমেরিকা থেকে ৫০ডলার বিনিয়োগ করে ১০টি সফট্ ওয়ার কিনে যাত্রা শুরু করেছিলাম। সে যাত্রা থেমে নেই। আমাদের দেশ থেকে বিদেশে এক কোটি ১৪ লক্ষ মানুষ কায়িক পরিশ্রম করে। এই এক কোটি ১৪ লক্ষ মানুষ যদি প্রোগ্রামার হতো তাহলে তারা প্রত্যেকে সোয়া লক্ষ ডলার আয় করতে পারতো। মোস্তফা জব্বার বলেন, আমরা চাই শেখ হাসিনা আরো দশ বছর প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করুক। তিনি বলেন, শিক্ষকদের ইতিহাস বদলানোর দায়িত্ব নিতে হবে। আগামি ডিসেম্বরে সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। সরকারের মেয়াদের মধ্যেই যা যা করা দরকার শিক্ষার জন্য তা করা হবে। তথ্য প্রযুক্তির দক্ষতা উন্নয়ন ছাড়া পৃথিবীতে টিকে থাকা যাবে না। এ জন্য ইয়ং জেনারেশনকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবই আমাদের লক্ষ্য। শিক্ষকরাই সে বিপ্লবের সৈনিক। শিক্ষকদের আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জ্ঞান ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তোলার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইসিটি বিষয়ক প্রভাষক ও প্রশিক্ষক সাঈদ সিদ্দিক। সারা দেশের নির্বাচিত ৩৬০জন শিক্ষক এসময় উপস্থিত ছিলেন।