নয়া আলো-
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর মহাসচিব এম আবদুল্লাহ বলেছেন, প্রস্তাবিত সম্প্রচার আইন স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কফিনে শেষ পেরেক। এই জঘন্য কালো আইনের বিরুদ্ধে দল-মত-পথ নির্বিশেষে সব সাংবাদিক ও স্বাধীনচেতা মানুষকে রুখে দাঁড়াতে হবে। তা না হলে সব শ্রেণী পেশা ও বিশ্বাসের মানুষকে আরও চরম মূল্য দিতে হবে। কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমানকে বায়োবীয় অভিযোগে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, তাদের অপরাধ হচ্ছে সরকারের দু:শাসন, লুটপাট, মানবাধিকার হরণ, গণতন্ত্র ধ্বংস করার বিরুদ্ধে তারা সাহসের সঙ্গে কথা বলেছেন ও কলম ধরেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জাতীয় প্রেসক্লাবের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার কারণে বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদ কারানির্যাতিত হচ্ছে। এই তিন সাংবাদিককে অবিলম্বে মুক্তি না দিলে দেশের সাংবাদিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। কোন ফ্যাসিবাদী সরকারই গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করে নিজেদের পতন ঠেকাতে পারেনি।
আজ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক শ্রম দফতরের হলরুমে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম মুকুল। বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম রাজু, সহকারী মহাসচিব ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি নুর ইসলাম, বিএফইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য হায়দার আলী, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামিম উল হাসান অপু, যুগ্ম সম্পাদক নুরুন্নবী বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাবু, স্থানীয় দৈনিক সময়ের কাগজ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, দৈনিক মাটির পৃথিবীর সম্পাদক এম এ জিহাদ প্রমুখ।
এম আবদুল্লাহ বলেন, শফিক রহমান ও মাহমুদুর রহমানকে যে মামলায় রিমান্ড নেয়া হয়েছে তা আমেরিকার আদালতেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তারপরও সাহসী এই দুই সম্পাদকের কন্ঠ ও কলম স্তব্ধ করতে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার দেশ বন্ধ ও মাহমুদুর রহমানকে প্রথম যখন গ্রেফতার করা হয়েছে তখন যদি সব সম্পাদক ও সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে পারতে তা হলে আজ মাহফুজ আনামকে ৭২ মামলা মাথায় নিয়ে কোর্টে কোর্টে ঘুরতে হতো না।
বিএফইউজে মহাসচিব প্রস্তাবিত সম্প্রচার আইন অবিলম্বে বাতিল করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়নের আহবান জানিয়ে বলেন, কুষ্টিয়ার নেতা তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে হিটলারের প্রচারমন্ত্রী গোয়েবলসকে হার মানিয়েছেন। মিথ্যাকে কিভাবে সত্যের মত করে বলতে হয় তা তিনি ভালোভাবে রপ্ত করেছেন।