৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

শিরোনামঃ-




প্রেমের সালিশে কিশোরীকে ৬০ বছরের চেয়ারম্যানের বিয়ের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

নয়া আলো অনলাইন ডেস্ক।

আপডেট টাইম : জুন ২৭ ২০২১, ২২:০৯ | 790 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

প্রেমের টানে বাড়ি ছেড়েছিলেন পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়নের এক তরুণ ও কিশোরী। ঘটনাটির সুরাহায় ডাকা সালিশে গিয়ে কিশোরীকে দেখে পছন্দ হওয়ায় বিয়ে করেন ফেলেন খোদ চেয়ারম্যানই। পরে অবশ্য ৬০ বছর বয়সী সেই চেয়ারম্যানকে তালাক দেন কিশোরী নসিমন বেগম। তবে এ ঘটনায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে কিনা, তা তদন্ত করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে ‘বাল্য বিবাহ’ হয়েছে কিনা, তাও তদন্ত করতে জেলা নিবন্ধককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ফৌজদারী অপরাধ ঘটেছে কিনা তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করতে বলেছেন আদালত। এসবের প্রমাণ মিললে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে হাই কোর্টের আদেশে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। আর সেই কিশোরী ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাবেক দুই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম ও একরামুল হক টুটুল পটুয়াখালীর এই ঘটনা নজরে আনলে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার স্বঃপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেয়।

 

এর আগে, গত শুক্রবার দুপুরে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন। জানা যায়, কনকদিয়া ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের মেয়ে নসিমনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের রমজান নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা দু’জন পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা কনকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান।

এরপরে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শুক্রবার কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে ছেলে ও মেয়ের পরিবারকে যেতে বলেন। সেই অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যরা ইউপি কার্যালয়ে যান। সেখানে মেয়েটিকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় চেয়ারম্যানের। তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখান। শুক্রবার দুপর ১টায় স্থানীয় কাজী মো. আবু সাদেককে বাড়িতে ডেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান।

এদিকে এই বিয়ের পর তা জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। শনিবার ওই একই কাজীর মাধ্যমেই তালাক সম্পন্ন হয়। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান, ওই মেয়ে তাকে স্বামী হিসেবে মেনে না নেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেয়েটিকে তার বাবার সঙ্গে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET