ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অধীনে ফরিদগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী রামগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি খাল পুনঃ খননের নামে অনিয়মের অভিযোগ করেছে স্থানীয় লোকজন। ৪ কিলোমিটার খাল পুনঃ খননের সময় নামকাওয়াস্তে কাজ হওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই কয়েকবার স্থানীয় কৃষকসহ জনসাধারণ খননের কাজ বন্ধ করতে চাপ প্রয়োগ করে। গত এক সপ্তাহ ধরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন খননের কাজ চালিয়ে গেলেও পাউবো কর্তৃপক্ষ নামেমাত্র তদারকি করছে।
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ভাটেরহদ, রুস্তমপুর ও গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের লাউতলী, আদশা, লতিফগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী রামগঞ্জ উপজেলার নয়নপুর, রাঘবপুর, বাগপুর, সন্দোড়া গ্রামের প্রায় ৭শ’ একর ফসলী জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের অভ্যন্তরে এন-থ্রি খালটি ব্যবহৃত হয়। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ খালটির ৪ কিলোমিটার অংশের পুনঃ খননের কাজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে গত এক সপ্তাহ পূর্বে শুরু করে। রামগঞ্জ উপজেলার রাঘবপুর থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার লতিফগঞ্জ এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটির পুনঃ খননের নিয়মানুযায়ী পাশে ৫ ফুট ও দুই থেকে আড়াই ফুট গভীর করে মাটি কাটার কথা। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ঠিকাদারের লোকজন শুধুমাত্র খালের উপরের অংশ কাঁদা মাটি সরিয়ে খালের কিনারায় রাখে। যাতে করে একটু বৃষ্টি হলেই ওই কাঁদা মাটি পূর্বের স্থানে ফিরে আসবে। সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে নির্বিঘ্নে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্যে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে তা না হওয়ায় হতাশ কৃষকরা। এক সপ্তাহ ধরে এই দৃশ্য দেখে স্থানীয় লোকজন কয়েকবার খাল খননের নামে তামাশা বন্ধ করতে চাপ প্রয়োগ করে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ আবুল কালাম, কৃষক বোরহান উদ্দিন, বাবুল হোসেন, আব্দুল মতিন মেম্বারসহ লোকজন জানান, খালের নাব্যতা রক্ষার্থে তারা ঠিকাদারকে চাপ প্রয়োগ করায় খালের মাটি কেটে এখন খালের পাড়ে রাখছে। কিন্তু খাল খননের প্রকৃত কাজ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে পাউবোর এসও মোঃ ইদ্রিস ফোনে জানান, অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। খাল খননের মাধ্যমে পানি সরবরাহ সচল রাখাই মূল উদ্দেশ্য। এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায় নি।
–