
নয়া আলো ডেস্কঃ- গত বৃহস্পতিবার সদরপুর উপজেলার বাবুরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি পরীর্ক্ষাথী তাহমিনা (১৪) এর বাবা তোফাজ্জেল হোসেনের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। সংবাদটি গত শুক্রবার দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে থেকে তাহমিনার পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে।
শনিবার দুপুরে আমাদের প্রতিনিধি তাহমিনার বাড়িতে গেলে তাহমিনার মা লায়লি বেগম এক হাতে চোখের অশ্রু মুছে চিৎকার করে বলেন আমি বর্তমানে ছেলে মেয়েদের ভরণ পোষনের কি করে চালাবো পত্রিকায় সংবাদটি বিভিন্ন সংগঠন সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করলেও কেউ আমাদের কাছে এগিয়ে আসেনি। তাহমিনার পিতা মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন মধ্য বাবুরচর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বল্প বেতনে চাকরি করে আসছিলেন। বর্তমান সরকার ২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো সরকারি করণে কিছুটা দুঃখ নিবারণ হলেও তিনি দীর্ঘ ২বছর যাবত কিডনি, ডায়েবেটিকস ও ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তার চিকিৎসার জন্য ব্রাক ব্যাংক, এসডি, ব্রুরো বাংলা, গ্রামীন ব্যাংক, জাগরণী চক্র, আশা, কৃষি ব্যাংক ও এসডিএস বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ১০লক্ষ টাকা ঋনের বোঝা নিয়ে তাকে চিকিৎসা করা হলেও তাকে বাচিয়ে রাখা যায়নি। লায়লি বেগম বলেন সংসারের একমাত্র উপার্জন কারি ছিলেন তাহমিনার পিতা। তাহমিনার মা বলেন এতো ঋনের বোঝা কি করে শোধ করবো আর কি দিয়ে ছেলে মেয়েদের নিয়ে সংসার চালাবো। এব্যাপারে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূরবী গোলদারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে আমরা তাহমিনার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা ও তাহমিনার পিতার পেনশনের টাকা তোলার সার্বিক সহযোগিতা করবো।