
ফেনীর ফুলগাজী স্কয়ার হাসপাতালের চেয়ারম্যান এটিএম এয়াছিন সাদেকের প্রতারণার ফাঁদে দিশেহারা প্রবাসী সহ বিনিয়োগকারীরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ফুলগাজী বাজারের মেইন রোডে টিএস স্কয়ারে গড়ে তোলে ফুলগাজী স্কয়ার হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক ল্যাব নামে অনুমোদন বিহিন একটি প্রতিষ্টান। যেখানে আইনের তোয়াক্কা না করে দেদারছে চলছে প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি।
স্থানীয়রা জানান, স্কয়ার হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক ল্যাব নামে প্রতিষ্ঠান করে নানা কৌশলে মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ সিন্ডিকেটের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত এটিএম এয়াছিন সাদেক ওরফে বিপ্লব। এ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ কারীরা টাকার লভ্যাংশতো দূরের কথা মুলধন হারিয়ে এখন পথে বসেছে। এ প্রতিষ্ঠানে বিনিযোগ করেছে এমন কিছু ভূক্তভোগি তাদের বিনিয়োগ পেতে বিভিন্ন দপ্তর র্যাব, দুদক, ইউএনও এবং পুলিশসুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বিপ্লব কারো কাছ থেকে এক লাখ, কারো কাছ থেকে ৫লাখ, আবার কারো কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা বিনিয়োগ নেয়। এমনই প্রবাসী পেশাজীবির কাছ থেকে ৪লক্ষ টাকার অগ্রিম মানি রশিদ প্রদান করে ৩লক্ষ টাকা বিনিয়োগ নেয়। সাথে পরিবারের ৪সদস্যের ফ্রি চিকিৎসা করাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই নেই।
ডাঃ মোমিন নামে এক বিনিয়োগ কারীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয় বিপ্লব। টাকা ফেরত না পেয়ে মোমিন কোর্টে মামলা করে এডবোকেট মাহাজাহান সাজুর মাধ্যমে কোর্ট থেকে জামিন লাভ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক ভুক্তভোগী জানায়, তার কাছ থেকে বিনিয়োগ নেয় এবং তাকে এ প্রতিষ।ঠানে চাকরী দেয়। কিন্তু লভ্যাংশের ঠাকা চাইলে তাকে নানান অজুহাতে হয়রানি করে শেষ মেষ তাকে প্রতিষ্ঠান বিনা লাভে বের করে দেয়। তার নামে মামলা দিবে বলে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে।
এ বিষয়ে জানতে এটিএম সোদেকের কাছে জানতে মুঠো যোগাযোগ করতে কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
এলাকার জনসাধারন মনে করেন সাদেকের প্রতারনা থেকে জনগনকে রেহায় দিতে এক্ষনি পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আরো অনেকে পথে বসবে।