
মেহেদী হাসান,খুলনা প্রতিনিধিঃ ফুলবাড়ীগেট মমতা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ভূল আল্ট্রাসনোগ্রাফি রির্পোট দিয়ে অর্থের জন্য অপারেশনের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনার মুখে জনরোষ ঠেকাতে গত ৫ অক্টোবর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ভুক্তভোগী এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় পরে বিষয়টি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাপাচা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ঘটনার তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন। ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে এর আগেও ভূল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ক্লিনিকট্রি বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও সুচতুর ক্লিনিকের মালিক ডাঃ মমতাজ রফিকের স্বামী রফিকুল ইসলাম কৌশলে সকল ঘটনাই খুবই সহজে ম্যানেজ করে ফেলেন। সর্বশেষ গত ৩ অক্টোবর ফুলবাড়ী আদর্শ পাড়ার মোঃ মাজেদ বিশ্বাসের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৭) পেটে ব্যাথা জনিত কারণে নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন ফুলবাড়ীগেট পুরাতন কুয়েট রোডের মমতা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ডাঃ মমতাজ রফিকের কাছে আসে। ডাঃ মমতাজ মরিয়মকে দেখে আল্ট্রাসনোগ্রাফি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করার জন্য বললে তিনি তাৎক্ষনিক টেষ্ট গুলো করান। ডাঃ মমতাজ রফিকের স্বাক্ষরিত আল্ট্রাসনোগ্রাফি রির্পোটে দেখা যায় রোগীর জরায়ু নাড়ী বৃদ্ধি এবং সামান্য পানি জমেছে । তাকে দ্রুত অপরেশনের কথা বলা হয় বিষয়টি তার স্বামীকে অবহিত করলে মরিয়ম স্থানীয় অন্য ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হলে তাকে ভালো ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারে আল্টা¯েœাগ্রাফী করতে বললে মরিয়ম ৪ অক্টোবর খুলনা সন্ধানী ডায়গোনিষ্টক সেন্টারে একই টেষ্ট করান ডা ঃ অশোক কুমার পাল স্বাক্ষরিত টেষ্ট রির্পোর্টে দেখা যায় মরিয়মের জরায়ুতে কোন প্রকার সমস্যা দেখা যায়নি। সবই নরমাল পজিশনে রয়েছে। দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই ধরনের রিপোর্ট হলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হাফিজা বেগম, ফিরোজা বেগম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, রোগী এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ গত ৫ অক্টোবর রাতে ক্লিনিকের মধ্যে শালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কিèনিক কর্তৃপক্ষ তাদের রির্পোট সঠিক দাবী করে বলেন, ভুল রির্পোট দিলে তারা রোগীর সকল খরচ বহন করবেন বলে আশ^স্থ করেন । রির্পোট কোনটি সঠিক তা যাচাই করার কথা ছিলো তৃতীয় কোন ডায়গনষ্টিক সেন্টারে কিন্তৃু তার আগেই নিজেদের রিপোর্ট ভুল বুঝতে পেরে রোগীর সাথে মোটা অংকের টাকায় গোপন আপোষের অভিযোগ উঠায় বিষয়টি আর তৃতীয় ডায়গনষ্টিক সেন্টার পর্যন্ত গড়ায় নি। এ ঘটনার টেষ্ট রির্পোট সহ প্রয়োজনীয় প্রমানপত্র তুলে দিয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি জনসমক্ষে তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের অনুরোধ জানান । এলাকাবাসীর অনুরোধে সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে শোনা যায় নানবিধ অভিযোগ, গত কয়েক বছর আগে স্থানীয় কপোতাক্ষ এলাকার আকলিমা বেগমের কণ্যা মোছাঃ রেক্রানা বেগম(২০) সিজারের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি করলে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় সে মারা যায় এমনটি অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে। ঐ ঘটনায় সে সময় উত্তেজিত জনতা ক্লিনিকটি ব্যাপোক ভাংচুর করলে কিছু দিন বন্ধ থাকে । এর কিছু দিন পর দিঘলিয়ার অপর এক রোগীকে সিজার করার সময় অপরেশন টেবিলে অবস্থা খারাপ হওয়ায় ঐ অবস্থায় তাকে এ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে এবং ঐ ঘটনাও অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। চলতি বছরে যোগীপোল এলাকার রেজাউলের স্ত্রী গর্ভবতি পলি বেগম(২৫) চেকআপ করাতে গেলে তাকেও বলা হয় তার পেটে টিউমার হয়েছে পরে অবশ্যই আল্ট্রাসনোগ্রাফি রির্পোট এর দেখা গেছে তিনি ৫ মাসের অন্তসত্তা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ থাকলে ও বার বার প্রতিষ্ঠানটি রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ক্লিনিকের ডাঃ মমতাজ রফিকের মোবাইল নাম্বার ০১৭৫৭০২৫৯৭৪ একাধিক বার যোগাযোগ করে তাকে চাইলে তিনি কথা না বলে ম্যানেজারকে দিয়ে দেন। ক্লিনিকের ম্যানেজার ডাক্তারকে মোবাইলটি সাংবাদিক পরিচয়ে দেওয়ার কথা বললে ম্যানেজার ডাঃ মমতাজ ম্যাডাম রুগি দেখছেন বলে লাইন কেটে দেন। এদিকে একই ক্লিনিকের একের পর এক ভ’ল চিকিৎসা এবং এর কোন ব্যাবস্থা না হওয়ায় এলাকাবাসী এর নেপথ্যের নায়ক সহ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যাবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছে।